hyderabad

Hyderabad Murder: ২০ মিনিট ধরে নাগরাজুকে পেটানো, কোপানো হল, ছটফট করে মরল, আর ওঁরা ভিডিয়ো করলেন!

হায়দরাবাদের মারেদপল্লির বাসিন্দা বছর পঁচিশের বি নাগরাজু সেকেন্দরাবাদের গাড়ির শোরুমে সেলসম্যানের কাজ করতেন। সুলতানার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিন প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের অমতে এ বছরের জানুয়ারিতে নাগরাজুকে বিয়ে করেন সুলতানা।  

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২২ ১২:১২
Share:

নিহত নাগরাজুর স্ত্রী সুলতানা। ছবি সৌজন্য টুইটার।

নাগরাজুকে যখন বেধড়ক মারধর করা হচ্ছিল, পথচারীদের কেউ ভিডিয়ো তুলছিলেন, কেউ আবার নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এক বারের জন্যও হামলাকারীদের বাধা দেননি বা নাগরাজুকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেননি। স্বামীকে হারিয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন হায়দরাবাদের তরুণী সৈয়দ আসরিন সুলতানা ওরফে পল্লবী।

বুধবার সন্ধ্যায় নাগরাজুকে মারধর করে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে সুলতানার পরিবারের বিরুদ্ধে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, বুধবার স্বামী নাগরাজুর সঙ্গে স্কুটিতে চেপে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ান দুই ব্যক্তি। ওই দু’জনের মধ্যে এক জন ছিলেন তাঁর দাদা সৈয়দ মবিন আহমেদ। অন্য জন দাদার সঙ্গী মহম্মদ মাসুদ আহমেদ।

Advertisement

সুলতানার অভিযোগ, স্কুটি থেকে নাগরাজুকে জোর করে নামিয়ে লোহার রড দিয়ে মারতে শুরু করেন মবিন এবং মাসুদ। তার পরই ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপ বসাতে থাকেন তাঁরা। স্বামীকে বাঁচাতে পথচারীদের সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। কিন্তু বাঁচাতে আসা তো দূর অস্ত‌্‌, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলতে ব্যস্ত ছিলেন!

সুলতানার কথায়, “আমার পরিবারের হাতে স্বামীর মৃত্যু যতটা আমাকে মর্মাহত, বিধ্বস্ত করেছে, তার থেকেও বেশি স্তম্ভিত হয়েছি যে রাস্তায় এত লোক থাকা সত্ত্বেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না! আমার স্বামীকে ছটফট করতে করতে মরতে দেখলেন তাঁরা। এই সমাজে আর ভাল মানুষ নেই।”

Advertisement

হায়দরাবাদের মারেদপল্লির বাসিন্দা বছর পঁচিশের বি নাগরাজু সেকেন্দরাবাদের গাড়ির শোরুমে সেলসম্যানের কাজ করতেন। সুলতানার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিন প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের অমতে এ বছরের জানুয়ারিতে নাগরাজুকে বিয়ে করেন সুলতানা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement