Mumbai Fire

মুম্বইয়ের ঘাটকোপরে রেস্তরাঁয় আগুনে মৃত এক, উদ্ধারকাজে নেমে ধোঁয়ায় অসুস্থ চার পুলিশকর্মীও

ঘাটকোপরের রাস্তার ধারে একটি সরু গলির মধ্যে বহুতলের একতলায় ওই রেস্তরাঁটি রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার প্রায় আধ ঘণ্টা পর দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৪১
Share:

শনিবার দুপুরে মুম্বইয়ের ঘাটকোপরে একটি পিৎজা রেস্তরাঁর ইলেকট্রিক মিটার রুমে আগুন লেগে যায়। ছবি: টুইটার।

মুম্বইয়ের ঘাটকোপরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাছে এক পিৎজা রেস্তরাঁয় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল এক মধ্যবয়সির। আহত হয়েছেন দু’জন তরুণী। শনিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে নেমে ধোঁয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪ পুলিশকর্মীও। ঘটনাস্থলের কাছে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২ জনকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জন তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ পূর্ব ঘাটকোপরে একটি পিৎজা রেস্তরাঁয় অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছেন কুরেশি দেধিয়া (৪৬)। সেই সঙ্গে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ বছরের তানিয়া কাম্বলে এবং ২০ বছরের কুসুম শেখ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোড়ায় ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ৩টি ইঞ্জিন গিয়ে পৌঁছয়।

বিএমসি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে পিৎজা রেস্তরাঁর ইলেকট্রিক মিটার রুমে আগুন লেগে যায়। তাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন কুরেশি-সহ ওই দু’জন তরুণী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কুরেশিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

ঘাটকোপরের রাস্তার ধারে একটি সরু গলির মধ্যে বহুতলের একতলায় ওই রেস্তরাঁটি রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার প্রায় আধ ঘণ্টা পর চেম্বুর এবং ভিকরোলি থেকে দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। যার জেরে ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। তবে বিকেল নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

অগ্নিকাণ্ডের জেরে ধোঁয়ায় ভরে যায় রেস্তরাঁর কাছের হাসপাতালটিও। অনেকেরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। রোগীরা ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্য বিল্ডিংয়ে আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। জেঠলাল লালা নামে এক রোগীর কথায়, ‘‘আগুন লাগার পর হাসপাতাল ধোঁয়ার ভরে গিয়েছিল। ভয় পেয়ে সাহায্যের জন্য হাসপাতালের নীচে নেমে পড়ে হাঁটতে শুরু করি। তবে কোথায় যাব, জানা নেই।’’ ওই হাসপাতালের মালিক নরেন্দ্র দেধিয়া জানিয়েছেন, ধোঁয়ার জেরে অসুস্থ রোগীদের অন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement