দেশ জুড়ে বিলাবল ভুট্টো জারদারির কুশপুতল পোড়ায় বিজেপি। ছবি: সংগৃহীত।
রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নিহত আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের তুলনা টেনে বিজেপির নিশানায় পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি। শনিবার দেশ জুড়ে তাঁর কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচি পালন করল পদ্ম-শিবির। তোলা হল ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান। রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজধানীতে পালন করা হয়েছে বিজেপির এই কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচির।
প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং সে দেশের নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাবলের শুক্রবারের এমন ব্যক্তি আক্রমণের ইতিমধ্যেই কড়া জবাদ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে শুক্রবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিলাবলের দাদু জুলফিকর আলি ভুট্টোর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই পাক সেনা ধর্ষণ, হত্যালীলা চালিয়েছিল পাকিস্তানে। অন্য দিকে, শুক্রবারই নয়াদিল্লির পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপির যুব মোর্চা।
প্রসঙ্গত, বিলাবল শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাতের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’’ বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিজয় দিবসের আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক বিদেশমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই চড়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদও।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনা এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে অ্যাবোটাবাদে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিঁধেছিলেন ইসালামাবাদকে। তারই প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার ওই মন্তব্য করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল।
আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে পাক বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত ওঁর এই দেশের মাটিতে প্রবেশাধিকার ছিল না।’’ প্রসঙ্গত, গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার পরে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীর ভিসার আবেদন নাকচ করেছিল ওয়াশিংটন। সেই প্রসঙ্গই তুলে ধরেন বিলাবল। পাশাপাশি, আরএসএসের সঙ্গে হিটলারের কুখ্যাত খুনে বাহিনী এসএস গ্রুপের তুলনাও করেন তিনি।
তার জবাবে শুক্রবার সাউথ ব্লকের বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ টানা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘শুধু লাদেন নন, জাকিউর রহমান লকভি, হাফিজ মহম্মদ সইদ, মৌলানা মাসুদ আজহার, সাজ্জাদ মির, দাউদ ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসবাদীদের নায়কের মর্যাদা দেয় পাকিস্তান।’