—ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক ধরে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য হলেও কমল। রবিবার রাতে দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৯৩৩ জনের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ২৪ হাজার ১০৩। তবে ওই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩০০ জনের। দৈনিক সংক্রমণের হার ৩০.২১ শতাংশ। গত শনিবার এই হার ছিল ৩২.২৭ শতাংশ।
চিকিৎসক মহলের মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে কোভিড টেস্টের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হয়েছে। যার ফলে আক্রান্তের পরিসংখ্যানও নিম্নমুখী হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত রবিবার দিল্লিতে ৮৫ হাজার ৬২০টি কোভিড টেস্ট হয়েছিল। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টায় তা কমে হয়েছে ৭৫ হাজার ৯১২টি।
করোনার সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই লকডাউনের পথে হেঁটেছে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। তা সত্ত্বেও দিল্লিতে নতুন করে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। শহরের হাসপাতালগুলিতে করোনার রোগীদের জন্য বেডের সংখ্যা অপ্রতুল হয়ে পড়েছে। টান পড়েছে অক্সিজেনের জোগানেও। দিল্লির হাসপাতালগুলিও কোভিড রোগীদের ফেরাতে শুরু করেছে।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন কেজরীবাল। পাশাপাশি, শনিবার দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের কাছেও তাঁর আর্জি ছিল অতিরিক্ত অক্সিজেন থাকলে তা দিল্লির কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে পাঠানো হোক। রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি শহরের বহু নাগরিকও নেটমাধ্যমে অক্সিজেন এবং রেমিডিসিভিরের মতো করোনার ওষুধ জোগানের আর্জি জানিয়েছেন।