ছবি: সংগৃহীত।
মে মাসের প্রথম দিন থেকে দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হবে। সেই কর্মসূচির সুষ্ঠু রূপায়ণে রবিবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার ওই নির্দেশিকাগুলি লিখিত ভাবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি-সহ স্বাস্থ্যসচিবকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দেশিকাগুলি জানিয়ে একটি চিঠিতে মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ লিখেছেন, ‘রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন যাতে টিকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা এড়াতে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে’।
কী বলা হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়?
প্রথমত, টিকা নেওয়ার জন্য কোউইন বা আরোগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে নাম নথিভুক্তি করতে হবে ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বে দেশের ইচ্ছুক নাগরিকদের। প্রথম দু’দফাতেই এই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তৃতীয় দফার টিকাকরণেও তা বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি টিকাকেন্দ্রও এই পদ্ধতি অনুসরণ করবে। টিকাকরণের যাবতীয় রেকর্ড ডিজিটাল মাধ্যমে নথিভুক্ত থাকবে। টিকা দেওয়ার পর সেই ডিজিটাল শংসাপত্র ও রিপোর্ট কোউইন সিস্টেমে পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয়ত, টিকাকেন্দ্রগুলিকে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকার ডোজ থেকে শুরু করে তা মজুত রাখার বন্দোবস্ত করবে হবে। টিকা নেওয়ার আগে ইচ্ছুকদের অপেক্ষা করার জন্য সমস্ত টিকাকেন্দ্রে যাতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখার প্রয়োজনীতার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
তৃতীয়ত, টিকাকরণের পর কারও দেহে বিরূপ উপসর্গ দেখা দেয় কি না, তা-ও লক্ষ্য রাখতে হবে।
চতুর্থত, যে সমস্ত শিল্প সংস্থায় নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে, তারাও কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে নথিভুক্তিকরণ করতে পারবে।
পঞ্চমত, সে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল বা শিল্প সংস্থা টিকাকরণ কর্মসূচিতে যোগদান করবে, তাদের নিজস্ব টিকা মজুতের ব্যবস্থা আগেভাগেই জানাতে হবে। টিকার ডোজ নিয়েও বিস্তারিত ভাবে তথ্য কোউইন অ্যাপে ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক। ওই হাসপাতাল বা সংস্থাগুলি সরাসরি টিকা উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ডোজ কিনতে পারবে।