করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। প্রতীকী ছবি।
নতুন করে আবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। বছর শেষের আগে চিন, আমেরিকায় সংক্রমণ বাড়ছে। এ নিয়ে এ বার তৎপর হল ভারত সরকার। দেশে কোভিডে আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্স করার সংখ্যা বাড়াতে রাজ্যগুলিকে মঙ্গলবার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এ নিয়ে রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ লিখেছেন, ‘‘চিন, জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া, ব্রাজিলে আচমকা করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সে জোর দিতে হবে। যাতে করোনার প্রজাতিকে নজরে রাখা যায়।’’
চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব আরও লিখেছেন যে, করোনার নতুন কোনও প্রজাতির কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কি না, তার হদিস পাওয়া যাবে জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে। জিনোম সিকোয়েন্স এমন একটা পদ্ধতি, যার সাহায্যে করোনার নতুন প্রজাতিকে চিহ্নিত করা ও তার চরিত্র সম্পর্কে জানা যায়।
বস্তুত, চিনে আবার করোনার দাপট দেখা গিয়েছে। সে দেশে সম্প্রতি করোনাবিধি শিথিল হতেই সংক্রমণ বাড়ছে। অতিমারি বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, আগামী ৯০ দিনে চিনের জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশ মানুষই সংক্রমিত হবেন। মঙ্গলবার বেজিংয়ে করোনায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যে হারে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, তা আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্বেগের বিষয় বলে জানিয়েছে আমেরিকা।
যদিও গত কয়েক মাস ধরেই ভারতে করোনা অতিমারি থিতু হয়েছে। সংক্রমণের হার ক্রমশ নিম্নমুখী। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, দেশে এক দিনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১২ জন। চিনে আবার করোনার দাপট দেখা যাওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্যানেল আশ্বাসের সুরে জানিয়েছে যে, চিনের করোনা পরিস্থিতি বেগতিক হলেও এ নিয়ে ভারতের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে চিনের কোভিড পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এনকে অরোরা জানিয়েছেন যে, দেশে বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।