Jagdeep Dhankhar

‘১৩৫ কোটি হাসছে, আমরা বাচ্চা নই’, রাজ্যসভায় খড়্গের পাশে অধ্যক্ষ ধনখড়

রাজ্যসভার অধিবেশনে বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে নিশানা করে যখন হইচই শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা, তখন তা কড়া হাতে দমন করলেন ধনখড়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৪২
Share:

রাজ্যসভায় বিরোধীদের পাশে দাঁড়ালেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। — ফাইল ছবি।

পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল যখন ছিলেন, প্রায়ই বিঁধতেন সরকার এবং শাসকদলকে। বিরোধীদের হয়ে প্রায়ই সওয়ালও করতেন সমাজমাধ্যমে। এ বার রাজ্যসভায় বিরোধীদের পাশে দাঁড়ালেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। অধিবেশনে বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে নিশানা করে যখন হইচই শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা, তখন তা কড়া হাতে দমন করলেন অধ্যক্ষ ধনখড়। মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘আমরা বাচ্চা নই।’’ খড়্গের পাশে দাঁড়িয়েই তাঁর যুক্তি, ‘‘কখনও হয়তো আবেগের বশে কক্ষের বাইরে এ সব বলেছিলেন তিনি।’’

Advertisement

রাজস্থানে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গের করা একটি মন্তব্য নিয়ে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। রাজস্থানে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় যোগ দিতে গিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতাদের ‘কুকুরের সঙ্গে তুলনা করার’ অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবিতে সরব হয় বিজেপি। শুরু হয় হইচই। তখনই উঠে দাঁড়িয়ে হস্তক্ষেপ করেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের আচরণ, ব্যবহার আমাদের বদনাম করছে। আমরা খুব খারাপ উদাহরণ তৈরি করছি। মানুষের মোহভঙ্গ হচ্ছে।’’

এখানেই থামেননি ধনখড়। শাসক এবং বিরোধী— দুই পক্ষের সাংসদদের দিকে তাকিয়েই হুঁশিয়ারি দেন ধনখড়। তিনি বলেন, ‘‘কী বেদনাদায়ক দৃশ্য! বিশ্বাস করুন, ১৩৫ কোটি আমাদের দেখে হাসছেন। ওঁরা ভাবছেন, আমাদের কতটা অধঃপতন হয়েছে!’’ এর পর খড়্গের পাশে দাঁড়িয়েই প্রাক্তন আইনজীবী ধনখড় বলেন, ‘‘কখনও কক্ষের বাইরে আবেগের বশে বলে ফেলেছেন তিনি। তার জন্য এ ধরনের আচরণ করার কোনও মানে হয় না।’’

Advertisement

অধ্যক্ষ ধনখড় এ-ও জানান, এক পক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষের মতের মিল না হলেই চিৎকার-চেঁচামেচি হবে, তা ঠিক নয়। তাঁর কথায়, ‘‘হয়তো দু’ধরনের মতামত রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, যখন কক্ষের প্রধান কথা বলবেন, তখন বিরোধীরা উত্ত্যক্ত করবেন। আবার যখন বিরোধীরা কথা বলবেন, তখন অন্য কেউ বিরক্ত করবেন। এটা কি জব্দ করা?’’ এর পরেই তিনি মনে করিয়ে দেন, দরকারে কোনও পক্ষকেই রেয়াত করবেন না। তিনি বলেন, ‘‘আমার সাংবিধানিক কর্তব্য পালনের সময় কোনও দিকেই তাকাব না। শুধুই সংবিধানের দিকে দেখব।’’ এর পরেই তিনি খড়্গেকে নির্দেশ দেন নিজের বক্তব্য পেশের জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement