নাকে নেওয়ার প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি।
ভয় ধরাচ্ছে করোনার নতুন উপরূপ ‘বিএফ.৭’। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ মোকাবিলায় ভারত বায়োটেকের নাকে নেওয়ার টিকাকে (ন্যাজাল ভ্যাকসিন) ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রতিষেধককে যুক্ত করা হয়েছে ‘কোউইন অ্যাপে।’ শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়।
সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এই টিকা প্রথমে পাওয়া যাবে বেসরকারি হাসপাতালে। শুক্রবার থেকেই টিকাকরণ কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়েছে এই প্রতিষেধক। এই টিকা এক ধরনের বুস্টার হিসাবেই প্রয়োগ করা হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের দেওয়া হবে ভারত বায়োটেকের এই টিকা। প্রতিষেধকের দাম শীঘ্রই স্থির করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই দেশের কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সংক্রমণ তলানিতে ঠেকেছে। মৃত্যুর হারও কমেছে। তবে সম্প্রতি চিনে করোনার নয়া উপরূপের কারণে যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে। গত জুলাই, সেপ্টেম্বর, নভেম্বর মাসে গুজরাত ও ওড়িশায় ২ জন করে মোট ৪ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছিল এই উপরূপ। তবে ৪ জনেই সুস্থ রয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কোভিড নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে দেশবাসীকে মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে যাতে জোর দেওয়া হয়, রাজ্যগুলিকে সেই বার্তাও মোদী দিয়েছেন। ক’দিন বাদেই রয়েছে বড়দিন। তার পরই রয়েছে বর্ষশেষের উদ্যাপন। উৎসবের মরসুমে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে সে কারণে দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক এবং নিয়মিত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় জানান যে, চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের করোনা পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্তরে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহামারি এখনও শেষ হয়নি। কোভিড আমাদের শত্রু। সে প্রতিনিয়ত রূপ বদলাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে।’’