Cyber fraud

ঘরে বসে কেবল দিতে হবে সিনেমার রেটিং, লক্ষাধিক আয়! ফাঁদে পা দিয়ে দম্পতি হারালেন কোটি টাকা

কাজ শেষ হতেই দম্পতি বুঝতে পারেন, অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৯৯ হাজার টাকা। দম্পতি নিশ্চিন্ত হন যে, প্রতারণার ফাঁদে পড়েননি। কিন্তু তাঁরা জানতেন না, এ ভাবে ভরসা জুগিয়েই চলছে প্রতারণা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাজকোট শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৪৬
Share:

আয়ের লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ জামনগরে। — প্রতীকী ছবি।

প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন গুজরাতের জামনগরের এক দম্পতি। কথা ছিল, বাড়িতে বসে সিনেমার রেটিং দিলেই মিলবে টাকা। টাকা তো মিললই না, উল্টে দম্পতি হারালেন ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। মাথায় হাত!

Advertisement

জানমগরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দম্পতি। সেখানে তাঁরা দাবি করেছেন, সম্প্রতি একটি মেসেজ (বার্তা) পান। সেখানে লেখা ছিল, ‘‘ঘরে বসেই আয় করুন। সিনেমায় রেটিং দিয়ে বিপুল আয়।’’ যে নম্বর থেকে বার্তাটি এসেছিল, দম্পতি যোগাযোগ করেন। বলা হয়, বাড়িতে বসে সিনেমায় রেটিং দিতে হবে। এ জন্য দৈনিক ২৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব বলেও তাঁদের জানানো হয়। এত সহজে বিপুল আয়ের লোভ ছাড়তে পারেননি দম্পতি। পর দিন থেকেই শুরু করে দেন কাজ।

প্রথমেই দম্পতিকে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটে লগইন করানো হয়। সেখানে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাঁরা। তার পর শুরু হয় প্রতারণার খেলা! অভিযোগ, তাঁরা যে সিনেমার রেটিং দেবেন বলে ঠিক হয়েছিল, তার একটি করে টিকিট কেনার জন্য কিছু টাকা জমা করতে বলা হয়। পত্রপাঠ টাকা জমা করেন। কাজ শেষ হতে না হতেই দম্পতি বুঝতে পারেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ৯৯ হাজার টাকা। দম্পতি নিশ্চিন্ত হন যে প্রতারণার ফাঁদে পড়েননি। কিন্তু কে জানত, এ ভাবে ভরসা জুগিয়েই প্রতারণার কারবার চালানো হচ্ছে। বেশ কয়েক দিন এ ভাবেই স্বামী-স্ত্রী মিলে কাজ করেন। টাকাও জমা হয় অ্যাকাউন্টে।

Advertisement

কিন্তু সেই টাকা তাঁদের তুলতে বারণ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তারা জানায়, এত বড় অঙ্কের অর্থ তুললে তাঁরা আর্থিক তছরুপের আওতায় পড়ে যাবেন। তাই কিছু সারচার্জ জমা দিয়ে ওই টাকা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয় দম্পতিকে। অবিশ্বাস করার কোনও কারণ দেখেননি জামনগরের স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু তা করতে গিয়েই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন তাঁরা। সারচার্জের নামে তাঁদের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা নেওয়া হতে থাকে। এ ভাবে ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর পুলিশে যোগাযোগ করেন দম্পতি। তাঁরা বুঝতে পারেন, তাঁদের বোকা বানিয়ে পুরো টাকাই লোপাট করে দিয়েছে প্রতারকরা।

ঘটনার তদন্তে নেমে সুরত থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জামনগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকিদেরও চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। সহজে বিপুল আয়ের প্রতিশ্রুতিতে পা দিতে বারণ করেছে পুলিশ। কিন্তু সেই লোভ যে সব সময় সংবরণ করা যাচ্ছে না, জামনগরের দম্পতির পথে বসার ঘটনাই তার হাতেগরম উদাহরণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement