রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এনইপি কার্যকর করার মতো পরিকাঠামো আছে কি না খতিয়ে দেখে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
চিরাচরিত ভাবে ৩ বছরের পরিবর্তে ৪ বছরে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা। স্নাতক স্তরেই গবেষণার সুযোগ। স্নাতকের পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিলেও আবার তা শুরু করার সুবিধা। জাতীয় শিক্ষানীতির অনুসারী স্নাতক স্তরের ‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’-এর অঙ্গ হিসাবে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেগুলির অধীনস্থ কলেজগুলিতে প্রস্তাবিত পরিবর্তন করার পরিকাঠামো রয়েছে কি? আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা জানানোর জন্য রাজ্যের সব উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা দফতরের গঠিত কমিটি।
জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) কার্যকর করার জন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে ওই কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা দফতর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে ওই কমিটিতে সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারপার্সন (শিক্ষা) কৌশিকী দাশগুপ্ত এবং কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক (শিক্ষা) মৌমিতা ভট্টাচার্যকে। শুক্রবার ওই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছে। তাতে উপস্থিত ছিলেন সব সদস্য। বৈঠকের পর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এনইপি কার্যকর করার মতো পরিকাঠামো আছে কি না খতিয়ে দেখে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্যদের কাছে মূলত ৩টি বিষয় জানতে চেয়েছে কমিটি। প্রথমত, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কি তৈরি? দ্বিতীয়ত, যদি চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে অপারগ থাকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, সেক্ষেত্রে কী কী অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে তারা? তৃতীয়ত, নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) কার্যকর করার ক্ষেত্রে কি কোনও অদলবদলের প্রয়োজন মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি? এ সব কিছুই শিক্ষা দফতরের কমিটিকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
উপাচার্যদের কাছ থেকে তাঁদের মতামত পাওয়ার পর তা নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। কমিটি গঠনের ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট দেওয়ার কথা কমিটির বিশেষজ্ঞদের।