প্রতীকী ছবি।
কোভিড টিকা নিয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। তার মধ্যেই মৃত্যু হল আরও এক জনের। তেলঙ্গানার মঞ্চেরিয়াল জেলার কাশীপেট গ্রামের ৫৫ বছরের এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে শুধু তেলঙ্গানাতেই কোভিড টিকা নেওয়ার পর মারা গেলেন ৩ জন। সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। আর এই মৃত্যু নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে তদন্তের আর্জি জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত ১৯ জানুয়ারি তেলঙ্গানার কাশীপেট হাসপাতালে টিকা নিয়েছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্মী। তার তিন-চার দিন পর থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। এর পর ২৯ জানুয়ারি তাঁকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তেলঙ্গানার স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সংক্রমণ, ফুসফুসের সমস্যার মতো কো-মর্বিডিটি ছিল। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে টিকার কোনও সম্পর্ক নেই। মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হার্ট অ্যাটাক।
অন্য দিকে টিকা নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের এ ভাবে পরপর মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র গাইডলাইন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট এলাকায়, নির্দিষ্ট সময়ে বা টিকার কারণে দুই বা ততোধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সেটা টিকাকরণ পরবর্তী বিরূপ ঘটনার (অ্যাডভার্স ইভেন্টস ফলোইং ইমিউনাইজেশন বা এইএফআই) নিয়ম মতো তদন্ত করা প্রয়োজন।
চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘এই সব মৃত্যুর ক্ষেত্রে জেলা বা রাজ্য স্তরের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোনও মৃত্যুই টিকার কারণে হয়নি। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। মৃত্যুর ঘটনাগুলির তদন্ত কে করছেন, কোন পদ্ধতিতে তদন্ত হচ্ছে, সে সব জনসমক্ষে আনা উচিত। যে হেতু ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাই আমরা হু-এর গাইডলাইন স্মরণ করিয়ে দিতে চাই’।
চিঠিতে সই করেছেন মালিনি অইসোলা, এসপি কারান্ত্রী, টি জেকবের মতো জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, জরুরি ভিত্তিতে মৃত্যুর তদন্ত করে জনগণকে সাবধান করতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদনের সময়, টিকা প্রয়োগে বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে তার পর ফের টিকা দেওয়ার দাবিও করেছেন তাঁরা।