—নিজস্ব চিত্র
শনিবার রাতে অমিত শাহের বাড়ি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপির যোগদান মেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিকতম উদ্যোগ ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। অথচ শুক্রবার বিধানসভায় পদত্যাগ করতে এসে নিজের ঘরে টাঙানো দলনেত্রীর ছবি হাতে বেরোনোর সময় তাঁর কণ্ঠে ঝরে পড়েছিল মমতার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা। তাঁর এমন আচরণকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
রাজীবের এ হেন আচরণ প্রসঙ্গে সৌগত বলেছেন, ‘‘রাজীব একটা ফেকু। সব বাজে কথা বলছে। মমতার ছবি নিয়ে রাজীব ড্রামাবাজি করছে। ওকে আমরা উপেক্ষা করছি। ওর কোনও গুরুত্ব নেই।’’ রবিবারের সভায় রাজীব রাজ্য সরকারের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী ও দুয়ারের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। অভিযোগ করেছেন, গত সাড়ে ৯ বছরে সরকার সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায়, একেবারে শেষলগ্নে ব্যর্থতা ঢাকতে আনা হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এমনই সব অভিযোগের উত্তরে দমদমের সাংসদের জবাব, ‘‘এত দিন পর ওর এ সব কথা মনে হচ্ছে? সেচমন্ত্রী হিসেবে তো অনেক ক্ষমতা ভোগ করেছে। বনমন্ত্রী হিসেবেও ক্ষমতা ভোগ করেছে। সরকারি খরচায় ঘুরে বেড়িয়েছেন সারা রাজ্য। তখন রাজীবের এ সব কথা মনে ছিল না। রাজীব দায়িত্বজ্ঞানহীন, লোভী হিসেবে প্রতিপন্ন হল।’’ তাঁর আরও আক্রমণ, ‘‘আগে তো এ সব নিয়ে খেয়াল হয়নি ওর। যদি মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ না পায়, তা হলে নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করবে। তখন রাজীবের এ সব কথা না বললেও হবে। ও কখনও মন্ত্রী হিসেব এই সমস্ত অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করেনি।’’
যোগদান মেলায় ডোমজুড়ের পদত্যাগী বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, কেউ তৃণমূলে যোগদান করলে বলা হয় উন্নয়ন দেখে দলে যোগ দিয়েছেন। আর দল ছাড়লেই গদ্দার বলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান সৌগতর উত্তর, ‘‘গদ্দার তো বটেই। দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আমরা কাউকে ঘাড় ধরে দলে যোগদান করাইনি। ভোটের আগে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে অবশ্যই আমরা তাঁকে গদ্দার বলব।’’