জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র
সাম্প্রতিক অতীতে ডুমুরজলার মতো এক সঙ্গে এত হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর একসঙ্গে বিজেপিতে যোগদানের মঞ্চ দেখেনি রাজ্য। আর সেখানেই ভুল জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি। কটাক্ষ করতে ছাড়়েননি যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় সঙ্গীতের ‘অবমাননা’র অভিযোগ তুলে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন অভিষেক। যদিও হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, নেতা-নেত্রীরা ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাননি। মাইকে অন্য কারও গলা শোনা গিয়েছে।
শনিবারই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, রুদ্রনীল ঘোষদের মতো এক ঝাঁক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা-নেত্রী বা সদ্য তৃণমূল ত্যাগীরা উড়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কলকাতায় ফিরে রবিবার ছিল বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান পর্ব। ডুমুরজলায় কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির উপস্থতিতে ওই সভাতেই গেরুয়া পতাকা ধরেছেন ওই নেতা-নেত্রীরা। সেই মঞ্চেই জাতীয় সঙ্গীতের একাংশ ভুল গেয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির ওই কর্মসূচির পরে পরেই এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষে বিঁধেছেন অভিষেক। তাঁর টুইট, ‘‘যাঁরা দেশপ্রেম আর জাতীয়তাবাদের মন্ত্র আউড়ে বেড়ান, তাঁরা জাতীয় সঙ্গীতও ঠিক করে গাইতে পারেন না! এই পার্টিই আবার ভারতের গর্ব ও সম্মান রক্ষা করবে বলে দাবি করে। লজ্জাজনক।’’ ‘‘এই দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি ক্ষমা চাইবেন’’— প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক।
টুইটের সঙ্গে ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ওই অংশের একটি ভিডিয়ো-ও পোস্ট করেন অভিষেক। সেটি এডিট করে বারবার ওই অংশ দেখানো হয়েছে।
যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘‘আমরা জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করতে চাইনি। নেতা-নেত্রীরাও কেউ ভুল গান করেননি। মঞ্চে আরও অনেক মহিলা ছিলেন। তাঁদের কারও গলায় ভুল লাইন গাওয়ার স্বর মাইকে শোনা গিয়েছে।’’
অভিষেকের টুইট প্রসঙ্গে লকেট পাল্টা বলেন, ‘‘এই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজে ভুল জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলেন। সেটা কেউ ভুলে যাননি। এঁদের কোনও কাজ নেই। আমাদের সঙ্গে না পেরে ভুল খুঁজে বেড়াচ্ছেন।’’