ছবি: পিটিআই।
মার্চে তৃতীয় পর্যায়ের গণ-টিকাকরণ পর্ব শুরুর আগেই পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং কো-মর্বিডদের করোনার প্রতিষেধক দিতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানাবে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকারের এক পরামর্শদাতা সুভাষ সালুনখে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও দরবার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রে গত ৭ দিন ধরেই দ্রুত গতিতে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে ৬ হাজারেরও বেশি সংক্রমিতের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে শনিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। মহারাষ্ট্র ছাড়াও কেরল-সহ দেশের ৫টি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণে রাশ টানতে অবিলম্বে টিকাকরণ জরুরি বলেই মনে করেন সালুনখে। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র এবং কেরলের কয়েকটি জায়গায় বাড়ছে সংক্রমণ। টিকাকরণের জন্য মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত নয় কেন্দ্রীয় সরকারের। তার আগেই পঞ্চাশোর্ধ্বদের টিকা দেওয়া উচিত। পাশাপাশি, কমবয়সিদের মধ্যে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরও এই কর্মসূচিতে শামিল করা প্রয়োজন। তা হলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’’ সালুনখের মতে, ‘‘করোনার সংক্রমণ রুখতে প্রতিষেধকের মতো অস্ত্র যখন হাতের কাছেই রয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’’ তা ছাড়া, প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে। ফলে টিকাকরণে অযথা দেরি করাও উচিত নয় বলেই মনে করেন তিনি।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সালুনখে। তিনি বলেন, ‘‘অমরাবতী, যবতমাল এবং অকোলা জেলায় অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্তণে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানানো হবে।’’
সরকারি সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৬২ জনকে করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৭ হাজার ৫৫৪ জন।