শনিবার মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যানের নিরিখে দেশের ৫ রাজ্য ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। শনিবার এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ৭ দিন ধরেই কেরল, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যপ্রদেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের শীর্ষকর্তারা। ফলে এই প্রবণতায় রাশ টানতে করোনাবিধির মান্যতাকেই জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।
গত ১৬ জানুয়ারি দেশে গণ-টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনা-যোদ্ধা মিলিয়ে মোট ১.০৭ কোটিকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যদিও তার আগে থেকেই গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস নাগাদ গোটা দেশেই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু, সেই প্রবণতা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৭ দিন ধরে দেশের ওই ৫টি রাজ্যে ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে শনিবার মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘গত সপ্তাহ থেকেই মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আজ (শনিবার) দেশের মধ্যে তা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে ৬ হাজার ১১২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।’’
মহারাষ্ট্র ছাড়াও উদ্বেগ তৈরি করছে কেরলের করোনা পরিসংখ্যান। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি (৪ হাজার ৫০৫ জন) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্র-কেরল ছাড়াও পঞ্জাবে হঠাৎ করে দৈনিক সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মহারাষ্ট্রের মতোই পঞ্জাবেও গত ৭ দিনে দৈনিক কোভিড রোগীর সংখ্যা হঠাৎই বে়ড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে ৩৮৩টি কোভিড কেস পাওয়া গিয়েছে’।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে মুম্বই ছাড়াও অমরাবতী এবং যবতমাল জেলায় একগুচ্ছ সতর্কীকরণ জারি করা হয়েছে। মুম্বই পুরসভার কমিশনার ইকবাল সিংহ চহালের কড়া নির্দেশ, গৃহ নিভৃতবাস-সহ বিয়ে বা কোনও অনুষ্ঠানের জনসমাবেশে করোনাবিধি ভঙ্গকারীদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
কেরল-মহারাষ্ট্রের মতোই মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তীসগঢ়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আগের থেকে বেড়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ওই ২ রাজ্যে যথাক্রমে ২৯৭ ও ২৫৯ জন নতুন কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।