প্রতীকী ছবি।
ভালবেসে বিয়ে করেছেন, বিয়ের জন্য বদলেছেন ধর্ম। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন যুবক। বম্বে হাই কোর্টে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, স্ত্রীর পরিবারের সদস্যেরা জোর করে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। স্ত্রীকে নিয়ে চলে গিয়েছেন রাজস্থানে।
মামলাকারীর নাম সাহিল চৌধুরি। ২২ বছর বয়সি ওই যুবক আদালতে জানিয়েছেন, তিনি মুসলমান ছিলেন। কলেজে পড়াকালীন এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। দু’জনে বিয়ে করে সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তরুণীর পরিবার রক্ষণশীল। তারা এই ভিন্ধর্মী সম্পর্ক মেনে নেবে না বলে যুবক ধর্ম পরিবর্তন করেন। অভিযোগ, তার পরেও তাঁদের সম্পর্ককে মানতে চায়নি তরুণীর পরিবার।
যুবক জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার বিশ্বেশ্বর মন্দিরে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের রেজিস্ট্রি হয় ৮ জুলাই। কিন্তু তার পরেও পরিবারের ভয়ে দু’জনে আলাদা থাকছিলেন। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তরুণী চিঠি লিখে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁর বাবা নিখোঁজ ডায়েরি করলে থানা থেকে যুগলকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তরুণী লিখিত ভাবে জানিয়ে এসেছিলেন যে, তিনি নিখোঁজ নন। স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন।
যুবকের অভিযোগ, থানা থেকে তাঁকে বলা হয়েছিল, তরুণীকে চার দিনের জন্য তাঁর বাপের বাড়িতে যেতে দিতে। তিনি গিয়েওছিলেন। তার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে আর তাঁর দেখা হয়নি। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ বার তাঁদের কথা হয়। এর পর রাজস্থান থেকে তাঁর কাছে আইনি নোটিস আসে। তাতে বলা হয়েছিল, যথাযথ ভাবে নিয়ম মেনে তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেননি। তাই এই বিয়ে বৈধ নয়। আদালতে যুবক এ-ও জানিয়েছেন, রাজস্থানে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও বিয়ে দিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
যুবকের আবেদন শুনে বম্বে হাই কোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২০ জুন সাহিলের স্ত্রীকে আদালতে হাজির করাতে হবে। তার পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।