বীরভূমের সদাইপুর থানা এলাকায় অশান্তি রুখতে বিভিন্ন গ্রামে রুটমার্চ করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের বাকি দিনগুলি শান্তিপূর্ণ রাখতে মনোনয়ন কেন্দ্রের এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ মেনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে নিরাপত্তা বলয় আরও শক্ত করল প্রশাসন। ভাঙড় ২ ব্লকের বিডিও অফিসের বাইরে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ কিয়ক্স। ভিতরে বাঁশের ব্যারিকেড। বীরভূমের সদাইপুর থানা এলাকায় অশান্তি রুখতে বিভিন্ন গ্রামে রুটমার্চ করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার থেকে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে। রবিবার সরকারি কর্মীদের ছুটি থাকায় ওই দিন গোটা প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, সোমবার মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হলে অশান্তি হতে পারে, এমন আঁচ করেই পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। গত শনিবারই মনোনয়নপত্র বিলি করা নিয়ে ঝামেলায় আক্রান্ত হতে হয়েছিল ব্লক অফিসের সরকারি কর্মীকে। আইএসএফ-কে কেন মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ওই সরকারি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর বিডিও অফিস চত্বরে সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
সোমবার মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার আগে ভাঙড়ে ‘শান্তির বার্তা’ দিয়েছে তৃণমূল। ভাঙড়ের মাঝেরহাট এলাকায় তৃণমূলের দেওয়াল দখলের অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতে শাসকদলের নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েছি। একটা জায়গায় দেওয়াল লিখে আইএসএফের যদি শান্তি হয়, ওরা করুক। তবে আমাদের ছেলেরা তৈরি আছে। আমি বলেছি, মারপিট করার দরকার নেই! গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আমি বলেছি, একটা দেওয়ালকে কেন্দ্র করে সারা ভাঙড়ে যাতে কোনও অশান্তি না হয়।’’
বীরভূমের সদাইপুরেও অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ মনোনয়নের জন্য বিভিন্ন গ্রামে রুটমার্চ করেছে পুলিশ। রুটমার্চের পাশাপাশি, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জেলার লাভপুর থানা এলাকা। বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসকদল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।