বাঁ দিক থেকে— ভূপেশ বঘেল এবং টিএস সিংহদেও। ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাস ছয়েক। তার আগে ছত্তীসগঢ়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে সক্রিয় হতে হল কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে সে রাজ্যের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ত্রিভুবনেশ্বর শরণ (টিএস) সিংহদেওকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লিতে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বঘেল, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মোহন মকরাম এবং সিংহদেও-সহ সে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এআইসিসির তরফে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে বঘেল মন্ত্রিসভার সদস্য সিংহদেও দীর্ঘ দিন ছত্তীসগঢ়ের বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর এই রাজপুত নেতা মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের হস্তক্ষেপে মুখ্যমন্ত্রী হন অনগ্রসর (ওবিসি) নেতা বঘেল। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সে সময় ঠিক হয়েছিল বঘেল আড়াই বছর পরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবেন। কিন্তু পরে সেই শর্ত মানতে চাননি তিনি।
গত দু’বছর ধরেই ছত্তীসগঢ় কংগ্রেসে দুই নেতার গোষ্ঠীলড়াই চলছিল। সরগুজার রাজ পরিবারের সন্তান সিংহদেও কংগ্রেস ছাড়তে পারেন বলেও জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অতীতে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি তোলায় সঙ্কট ঘনিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দল ছাড়েন গ্বালিয়র রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারী জ্যোতিরাদিত্য। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটের পরে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হয়ে ওঠা সচিন পাইলটকে নিয়ে এখনও সমস্যা চলছে। ছত্তীসগঢ়ের পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগে তাই এ বার রাহুল নিজেই সক্রিয় হয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।