গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেতে চলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালন। ৩১ বছরেরও বেশি সময় জেল খেটেছেন তিনি। এ বার শীর্ষ আদালতের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল কংগ্রেস। কংগ্রেস জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে তারা গভীর ভাবে ব্যথিত।
পেরারিভালনকে মুক্তি দেওয়ার শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে নিয়ে খুশি নয় কংগ্রেস। জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে তারা গভীর ভাবে ব্যথিত। পাশাপাশি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারী জঙ্গি ও খুনিকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারের কী মনোভাব, তা-ও স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, ধানু নামে এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনায় সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন যায়। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায় ২০১৪-য় সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে যায়।
পেরারিভালনকে মেয়াদ পূরণের আগেই মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তে ঔপচারিক সিলমোহরের জন্য তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা তা পাঠায় রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল তা আবার বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। যে আবেদন এখনও পড়ে রয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালনকে মুক্তি দেওয়ার রায়ের পাশাপাশি এ বিষয়ে আলোকপাত করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রিসভায় গৃহীত কোনও সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য রাজ্যপাল।