গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
৩১ বছর জেলবন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে মুক্তি পাচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর হত্যাকারী পেরারিভালন। তামিলনাড়ু সরকার তাঁর মুক্তির জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল। বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে সেই আবেদনই মঞ্জুর করল দেশের শীর্ষ আদালত।
পেরারিভালন বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। তিনি নিজের স্থায়ী জেলমুক্তির আবেদনে লিখেছিলেন, ‘আমি ৩১ বছর ধরে জেলে বন্দি অবস্থায় রয়েছি। তাই আমায় এ বার রেহাই দেওয়া হোক।’ ২০০৮ সালে তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা তাঁর মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। তখন থেকেই পেরারিভালনের মুক্তি-মামলা থমকে আছে। সুপ্রিম কোর্ট গত ১০ মে এই মামলার শুনানি শেষ করে রায় স্থগিত রাখে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রাজীব হত্যাকারীর মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দেয়, রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য সেই রাজ্যের রাজ্যপাল।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর হত্যায় অন্যতম দোষী পেরারিভালনের যাবজ্জীবনের সাজা হয়েছিল। পেরারিভালনের আইনজীবী সওয়াল করেন, সব মিলিয়ে তিনি ৩৬ বছর জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। তাঁর আচরণ নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ নেই। তাই তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৮-য় তৎকালীন এআইডিএমকে মন্ত্রিসভা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তনামা তামিলনাড়ুর তৎকালীন রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গেলে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। রাজ্যপাল এ বিষয়ে সিলমোহর না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পেরারিভালন।