Congress

দলিত সংরক্ষণ নিয়ে আসরে নামছে কংগ্রেস

বিজেপি-শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকারের একটি মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের রায়, সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির সংরক্ষণের দাবি কোনও মৌলিক অধিকার নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:২৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

দলিত সংরক্ষণ প্রশ্নে ফের বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে চলেছে কংগ্রেস। সংসদে বিষয়টি নিয়ে হইচই বাধানোর পাশাপাশি ‘ভারত-বন্‌ধ’-এর কথাও ভাবছে তারা।

Advertisement

সূত্রপাত সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে ঘিরে। বিজেপি-শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকারের একটি মামলার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের রায়, সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির সংরক্ষণের দাবি কোনও মৌলিক অধিকার নয়। চাকরি বা পদোন্নতিতে সংরক্ষণ দিতেও রাজ্য বাধ্য নয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকারের হয়ে যে আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ফলে সংরক্ষণ নিয়ে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের কী মনোভাব, তা আরও একবার স্পষ্ট হল। রবিবার দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিক ও উদিত রাজ জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে তাঁরা সহমত নন। আগামিকাল সংসদের অধিবেশন ফের শুরু হলে দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি তোলা হবে। সংসদ অধিবেশনের শেষে ‘ভারত বন্‌ধ’ ডাকার কথাও ভাবা হচ্ছে।

বিজেপির এক নেতার অবশ্য দাবি, ‘‘এই মামলাটি প্রায় সাড়ে সাত বছরের পুরনো। সে সময়ে উত্তরাখণ্ডে ছিল কংগ্রেসের সরকার। কংগ্রেসই কোনও রকম সংরক্ষণ না দিয়ে সরকারি পদ পূরণ করেছিল। হাইকোর্ট হয়ে সেটিই এখন গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর সঙ্গে বিজেপি বা সঙ্ঘের মনোভাবের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং আইনের বিষয়টি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু করণীয় হলে পদক্ষেপ করা হবে।’’ কংগ্রেস অবশ্য আক্রমণ কমাতে চাইছে না। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্য-র সংরক্ষণ সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য এমনি ‘বাল্মিকী’ সমাজ নিয়ে নিজের বইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতিবাচক মন্তব্যও ফের তুলে ধরেছে তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: হিন্দু শবযাত্রাকে রাস্তা ছেড়ে দিল শাহিন বাগ

উদিত রাজের বক্তব্য, সংরক্ষণ নিয়ে সরকারের অবস্থান কী হওয়া উচিত, তা ইতিমধ্যেই স্থির হয়ে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের আইনজীবীরা যে অবস্থান নিয়েছেন, তা কেন্দ্রের অবস্থানের থেকে ভিন্ন। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, আদালতে গিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা।

এর মধ্যেই আজ দলিত সমাজকে বার্তা দিতে রবিদাস জয়ন্তীর দিন একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। অমিত শাহ, জগৎ প্রকাশ নড্ডারাও রবিদাস জয়ন্তীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। কিন্তু বিজেপি নেতাদের চাপ বাড়িয়ে এ দিন নরেন্দ্র মোদীরই কেন্দ্র বারাণসীতে গিয়ে রবিদাস জয়ন্তী পালন করছেন কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement