বিস্ফোরণ ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। ছবি: পিটিআই
গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করল তামিলনাড়ু পুলিশ। তাদের নজরে রয়েছে আরও ২৫ জন। ওই কাণ্ডে জঙ্গিযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জেলবন্দি এক লস্কর-ই-তৈবা নেতাকেও। এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নিহত জামিশা মুবিনের বাড়ির আশপাশে দেখা গিয়েছিল রবিবার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মহম্মদ তালকা, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ নওয়াজ, মহম্মদ রিয়াজ এবং ফিরোজ ইসমাইল। রবিবার গাড়িবোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে জামিশা মুবিনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেকপয়েন্ট এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন জামিশা। গাড়ি থেকে বেরোনোর মুহূর্তে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই বিস্ফোরণের লক্ষ্য নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কাণ্ডে জেরা করা হচ্ছে জেলবন্দি লস্কর-ই-তৈবা নেতা সারফার নওয়াজকে। সংবাদ সংস্থা নিউজ এইট্টিন সূত্রে জানা গিয়েছে এই তথ্য। এ-ও বলা হচ্ছে, ওই ঘটনা ‘জঙ্গি নাশকতা’।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় নেমেছে বিজেপি। কোয়ম্বত্তূরের ওই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। তামিলনাড়ু বিজেপির অভিযোগ, নিহত জামেশা মুবিন নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে যা লিখেছেন তা জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএসকে অনুকরণ করে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পুলিশ কেন পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে তা-ও বলা হচ্ছে না। তাদের দাবি, বিষয়টি যে ‘আত্মঘাতী হামলা’ তা স্বীকার করতে হবে পুলিশকে।