সোনম ওয়াংচুক। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেলেও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েই রয়ে গিয়েছে। লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি নিয়ে এ বার কেন্দ্র আলোচনা করুক। চাইছেন বাস্তব জীবনের ‘র্যাঞ্চো’ জলবায়ু আন্দোলন কর্মী সোনম ওয়াংচুক। ১৫ অগস্ট (স্বাধীনতা দিবস) পর্যন্ত কেন্দ্রকে আলোচনা শুরুর জন্য চরম সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। অন্যথায় স্বাধীনতা দিবস থেকেই তিনি ২৮ দিনের জন্য অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন ওয়াংচুক।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন করতে দ্রাসে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রসঙ্গ টেনে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াংকচুক জানিয়েছেন লেহ অ্যাপেক্স বডি (এবিএল) এবং লাদাখের কার্গিল গণতান্ত্রিক জোট (কেডিএ)- উভয়েই প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় আমরা সরকারের উপর বেশি চাপ তৈরি করতে চাইনি। আমরা চেয়েছি ভোটের পরও যাতে সরকার কিছুটা নিঃশ্বাস ফেলার সময় পায়। আমি আশা করছি, নতুন সরকার নিশ্চয়ই সদর্থক পদক্ষেপ করবে।”
ওয়াংচুকের আরও সংযোজন, “দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, সেই দাবিপত্র দেখে নিশ্চই আমাদের নেতাদের আলোচনার জন্য ডাকা হবে। যদি তা না হয়, তবে ১৫ অগস্ট থেকে আমরা ফের এক দফা প্রতিবাদ শুরু করব।” তিনি জানিয়েছেন, শর্ত না মানা হলে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস থেকে ২৮ দিনের অনশন শুরু করবেন তিনি। ওয়াংচুকের দাবি, কেন্দ্র লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও পূরণ হয়নি। এর জন্য শিল্পপতিদের একাংশের থেকে কেন্দ্রের উপর চাপকেই দায়ী করছেন ওয়াংচুক। তাঁর অভিযোগ, শিল্পপতিদের একাংশ লাদাখের খনিজ ভাণ্ডারের অপব্যবহার করতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরেই মার্চে ২১ দিনের অনশনে বসেছিলেন ওয়াংচুক। শুধু নুন-জল ছাড়া, আর কিছুই মুখে তোলেননি ওই ২১ দিন। তখনও দাবি-দাওয়া ছিল একই। লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে। এ বার সেই দাবিতেই ফের এক বার অনশনে বসতে চলেছেন ওয়াংচুক।