ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
ডাক্তারির প্রবেশিকা নিট-এ পাশ করে চিকিৎসক হতে চেয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে প্রাণ গেল ১৭ বছরের সেই ছাত্রীর। গুজরাতের নভসারির এবি স্কুলে এই ঘটনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর নাম তানিশা গান্ধী। দু’বছর আগে কোভিডে মাকে হারিয়েছে সে। সোমবার স্কুলে টিফিনের বিরতিতে বন্ধুদের সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিল তানিশা। তখনই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ঘামতে থাকে তানিশা। সঙ্গে সঙ্গে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা মনে করছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এ বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
এবি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অম্রুত ছাত্রোলা জানিয়েছেন, সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় আচমকা অসুস্থবোধ করে তানিশা। রেলিং আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। তাকে ধরে ফেলে সহপাঠীরা। তারাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায়। অমরুত বলেন, ‘‘স্কুলের গাড়িতেই ওকে পাশের হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তানিশা চিকিৎসক হতে চাইত। নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দু’বছর আগে মাকে কোভিডে হারিয়েছিল সে। বাবার সঙ্গে থাকত। বাবা পদার্থবিদ্যার শিক্ষক।
গত কয়েক মাসে গুজরাতে বেশ কয়েক তরুণ-তরুণীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয়েছে। গোটা দেশেই ক্রমে বাড়ছে প্রবণতা। উদ্বেগে চিকিৎসকেরা। জীবনযাপনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞেরা।