মোরবী পুরসভাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে গুজরাট হাই কোর্ট। — ফাইল ছবি।
মোরবীতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার দায় নিল স্থানীয় পুরসভা। গুজরাত হাই কোর্টে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে পুরসভা। তাতেই দায় স্বীকার করে লিখেছে, ‘‘সেতুটি খোলা উচিত হয়নি।’’ গত মাসে ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই সেতু ভেঙে অন্তত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার মোরবী পুরসভাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে গুজরাট হাই কোর্ট। দু’বার নোটিস পাঠানোর পরেও সেতু কী ভাবে ভেঙে পড়ল, তা জানিয়ে হলফনামা পেশ করেনি তারা। সে কারণেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। বুধবার বিষয়টির শুনানি হয় হাই কোর্টে। বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সে দিন সন্ধ্যার মধ্যেই আদালতে হলফনামা পেশ না করলে মোরবী পুরসভাকে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে।
দেড়শো বছরের পুরনো সেতুটি সংস্কার করেছিল ওরেভা সংস্থা। টেন্ডার না ডেকেই ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল মোরবী পুরসভা। কেন? মঙ্গলবার শুনানির সময় সেই প্রশ্নও তুলেছে গুজরাট হাই কোর্ট। অভিযোগ উঠেছে, ঝুলন্ত সেতুর পুরনো তার না বদলে মেঝেতে নতুন ধাতব পাত বসিয়েছে সংস্কারকারী সংস্থা। এর ফলে নতুন পাতের ভার রাখতে পারেনি পুরনো তারগুলি। ভেঙে পড়েছে সেতু।
২০০৮ সালে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা সংস্থার সঙ্গে ন’বছরের চুক্তি হয় মোরবী পুরসভার। ২০১৭ সালের জুনে সেই চুক্তি শেষ হয়। তার পরেও কী ভাবে সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থেকে যায় ওই সংস্থা? এই প্রশ্নও তুলেছে হাই কোর্ট। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফের ওরেভা সংস্থার সঙ্গে নতুন করে সাত কোটি টাকার সেতু সংস্কারের চুক্তি হয় পুরসভার।
বিরোধীদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার কারণেই বিপত্তি। এত মানুষের মৃত্যুর পরেও সংস্থার শীর্ষকর্তাদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত সংস্থার ন’জন নিচুতলার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৪ নভেম্বর গুজরাত হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সে দিন মোরবী পুরসভার প্রধান সন্দীপসিংহ জালাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে হাই কোর্ট।