দিল্লিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু পাঁচ বছরের শিশুর। —প্রতীকী চিত্র।
দীপাবলি উপলক্ষে বাড়িতে লাগানো হয়েছিল বৈদ্যুতিক আলো। সাজিয়ে তোলা হয়েছিল গোটা বাড়ি। উৎসবের ঠিক আগে সেখানেই হাহাকার। বাড়ির পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু হল ওই আলোতেই তড়িদাহত হয়ে। শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও তাকে বাঁচাতে পারেননি বাবা-মা।
ঘটনাটি দিল্লির মুকুন্দপুরের রাধাবিহার এলাকার। মৃত শিশুটির নাম সাগর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে লাগানো বৈদ্যুতিক আলোয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। তার বাবা সন্তোষ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা ভাড়াবাড়িতে থাকেন। তাঁর তিন সন্তান। তাদের মধ্যে কনিষ্ঠের মৃত্যু হয়েছে। দীপাবলির আগে বাড়ি সাজানোর জন্য বাড়ির মালিকই বৈদ্যুতিক আলো লাগিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বাড়ির ছাদে ওই আলো লাগানো হয়েছিল। বাড়ির মালিক সারজুর শাহের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশকে শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাঁর স্ত্রী তাঁকে ফোন করে জানান, তাঁদের পাঁচ বছরের সন্তান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। এর পর তাকে নিয়ে রাত পর্যন্ত তিনটি হাসপাতালে ঘোরেন দম্পতি। প্রথমে যান মুকুন্দপুরের বেঙ্কটেশ মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে, তার পর যান মুখার্জিনগরের নিউ লাইফ হাসপাতালে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় শালিমার বাগের ফর্টিস হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।