মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচনের গণনা। কেন্দ্রের কুর্সিতে কে বসছেন, তা জানা যাবে মঙ্গলবারই। তার আগে সাংবাদিক বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই ওই নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। উপত্যকায় বিধানসভা ভোট শেষ বার হয়েছিল ২০১৪ সালে, অর্থাৎ, প্রায় এক দশক আগে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজীব। নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। ওঠে কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে। কিছু দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জানিয়েছেন, উপত্যকায় বিধানসভা ভোট শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই হবে। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। তবে কবে সেখানে ভোট হবে, দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি এখনও।
কাশ্মীরে ভোটের হার এ বার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেড়েছে, জানিয়েছেন কমিশনার রাজীব। তিনি বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে আমরা খুব শীঘ্র বিধানসভা নির্বাচন আয়োজন করতে চলেছি। সেখানে লোকসভায় যে হারে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তাতে আমরা উৎসাহিত।’’ তিনি জানিয়েছেন, এ বার জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে মোট পাঁচটি লোকসভা আসনে ভোটের হারে নজির তৈরি হয়েছে। জম্মুতে ৫৮.৫৮ শতাংশ এবং উপত্যকা অঞ্চলে ৫১.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে শেষ বার বিধানসভা ভোট হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। ২০১৯ সালের অগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাটি বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার এবং রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। এখনও পর্যন্ত সেখানে আর বিধানসভা ভোট হয়নি। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কোনও ভোট হল কাশ্মীরে। পাঁচ দফাতেই সেখানকার পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ফল জানা যাবে মঙ্গলবার।