Jammu and Kashmir Assembly Election

৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে, তার পরে রাজ্যের মর্যাদা: অমিত শাহ

পাঁচ দফায় পাঁচটি আসনে ভোট হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ভোটের হারও আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ায় এ বার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের কথা জানালেন অমিত শাহ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ১৫:২৩
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।

৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচন মিটলে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হবে। ইতিমধ্যে উপত্যকায় লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। শাহ জানিয়েছেন, লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটেছে, যা থেকে প্রমাণিত হয়, মোদী সরকারের ‘কাশ্মীর নীতি’ সফল।

Advertisement

শনিবার রাতে পিটিআইকে শাহ বলেন, ‘‘আমি সংসদেও বলেছি, কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলে আমরা রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে দেব। অনগ্রসর শ্রেণিগুলির সমীক্ষা, বিধানসভা এবং লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আসন পুনর্বিন্যাস বা ‘ডিলিমিটেশন’— সব আপাতত পরিকল্পনামাফিক চলছে। আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তা না হলে শ্রেণি অনুযায়ী সংরক্ষণ দেওয়া সম্ভব হত না। কাশ্মীরে লোকসভা ভোটও হয়ে গিয়েছে। বাকি শুধু বিধানসভা ভোট, তা-ও হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্ট যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আগেই ওই প্রক্রিয়া আমরা শেষ করব।’’ উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে।

পাঁচ দফায় পাঁচটি আসনে লোকসভা ভোট হয়েছে উপত্যকায়। ভোটের হার উল্লেখ করে শাহ জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে। সেই কারণেই এত বিপুল পরিমাণে মানুষ বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছেন সেখানে। শাহের কথায়, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে বলেছিলেন, উপত্যকার মানুষ ভারতের সংবিধানে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এই নির্বাচনটি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে। কাশ্মীরের সংবিধান আর সেখানে নেই। যাঁরা উপত্যকায় পৃথক দেশ চান, যাঁরা পাকিস্তানে চলে যেতে চান, তাঁরাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের জয়। মোদী সরকারের কাশ্মীর নীতির জয়।’’

Advertisement

২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে শেষ বার বিধানসভা ভোট হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। ২০১৯ সালের অগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাটি বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার এবং রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। এখনও পর্যন্ত সেখানে আর বিধানসভা ভোট হয়নি।

পাক অধিকৃত কাশ্মীর কি জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত হবে? এ প্রসঙ্গে শাহ জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনেক গুরুতর আলোচনা প্রয়োজন। কারণ, এই সিদ্ধান্ত গোটা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিষয়টি বিজেপির ইস্তাহারেও রয়েছে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement