ফাইল ছবি ছবি: রয়টার্স
কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। অনেকেরই অভিযোগ, ঠিকমতো ট্রায়াল হয়নি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে করোনা প্রতিরোধী এই টিকার। সেই পুরনো অভিযোগ সামনে এনেই কেন্দ্রকে কোভ্যাক্সিন সরবরাহ বন্ধ করতে চিঠি দিল ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস সরকার। সেই চিঠির জবাবে কোভ্যাক্সিনকে নিরাপদ বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
‘ভারত বায়োটেক’-এর তৈরি এই টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়াল হয়নি, তাই এতে ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি, এই টিকার গায়ে লেখা নেই ওষুধের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার তারিখও। ছত্তীসগঢ় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও এই দুই কারণ দেখিয়ে একটি চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। সেখানেই তিনি আপাতত কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ বন্ধ রাখতে আবেদন জানান।
সেই চিঠি টুইটারে প্রকাশিত হওয়ার পরেই দ্রুত জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। পাশাপাশি অভিযোগ করেন, ছত্তীসগঢ় টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে।
চিঠির শুরুতেই হর্ষবর্ধন উল্লেখ করেন, কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম। সারা দেশেই এর বিস্তৃত ব্যবহার করা দরকার। কার্যকারিতা শেষ হওয়ার দিনের উল্লেখ নিয়েও চিঠিতে লেখেন হর্ষবর্ধন। কোভ্যাক্সিন টিকার গায়ে সাঁটা লেবেলের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আপনার কার্যকারিতা শেষ হওয়ার দিন নিয়ে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। দেখুন, লেবেলেই তারিখের উল্লেখ স্পষ্ট’।
এর পরেই ছত্তীসগঢ় টিকাকরণে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। লেখেন, ‘ছত্তীসগঢ়ে মাত্র ৯.৫৫ শতাংশ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা টিকা পেয়েছেন। টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯ হাজার ৫১২। আপনাদের উচিত আরও বেশি সংখ্যায় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা, কারণ আপনার রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে’।