জলকামানের সামনে নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারী বাম ও কংগ্রেস সমর্থকরা। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের পর, শুক্রবার বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার হরতালকে সমর্থন জানাল পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-ও। বৃহস্পতিবার দলের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করেছেন আব্বাস। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে ছাত্র এবং যুবদের উপর ‘পুলিশি হামলা’র নিন্দা করে একে ‘কালো দিন’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আব্বাস লিখেছেন, ‘১১ই ফ্রেব্রুয়ারি বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’ তাঁর মতে, বাম ছাত্র-যুব এবং জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির যৌথ ভাবে নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারী ‘নিরীহ আন্দোলনকারীদের উপর নির্মমভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের জোর করে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এর পাশাপাশি, সংবিধানে দেওয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকারের কথা তুলে আব্বাসের অভিযোগ, ‘বর্তমান রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার প্রশাসনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।’ কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারকে একযোগে আক্রমণ করে আব্বাসের তোপ, ‘কেন্দ্র সরকারের অসংবিধানিক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করলে যেমন প্রশাসনিক দমনপীড়ন নেমে আসে, ঠিক বাংলাতেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের দাবি নিয়ে আন্দোলন করলেই নেমে আসে প্রশাসনিক অত্যাচার।’
সংগঠন গড়ার কাজে নেমে তৃণমূলের বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন আইএসএফ-এর নেতারা। বৃহস্পতিবারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আব্বাস ফের একবার সেই অভিযোগ কিছুটা ঘুরিয়ে জুড়ে দিয়েছেন। শুক্রবারের হরতালকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এ বার সমর্থনের বার্তা দিল আইএসএফ-ও। প্রসঙ্গত, বুধবারই আব্বাসের সঙ্গে জোটের আলোচনা করতে গিয়ে তাঁর দেখা না পেয়ে ফুরফুরা শরিফ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকে। ফলে থমকে যায় জোটের বলও। সেই আলোচনাকে আরও গতি দিতেই কি ‘বন্ধু’র মতো ‘রাজদ্বারে’ও বাম এবং কংগ্রেসের পাশে থাকার বার্তা দিলেন আব্বাস? এই প্রশ্নও উঠছে বিভিন্ন মহলে।