—প্রতীকী চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ের এক সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের মদ্যপানের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) । দাবি করা হচ্ছে, সেই ভিডিয়োটি ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর জেলার এক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের। ওই ভিডিয়োয় কয়েকজন ছাত্রী স্কুলে বসে মদ্যপান করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় ছত্তীসগঢ়ে। বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মাঝেই এ বার পদক্ষেপ ছত্তীসগঢ়ের শিক্ষা দফতরের।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মঙ্গলবার ছত্তীসগঢ়ের শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দফতর। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ২৯ জুলাই ওই দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। বিলাসপুরের মাস্তুরি এলাকার একটি সরকারি স্কুলে ওই ঘটনাটি ঘটেছিল। সূত্রের খবর, ওই দিন স্কুলের এক ছাত্রীর জন্মদিন ছিল। জন্মদিন উদ্যাপনের সময়েই এই ঘটনাটি ঘটেছিল এবং কোনও এক ছাত্রী তা ক্যামেরাবন্দি করেছিল।
বিলাসপুর জেলার শিক্ষা আধিকারিক টিআর সাহুকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মদ্যপান করতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছেন কমিটির সদস্যেরা। তাদের বয়ান রেকর্ড করেছেন।
জেলা শিক্ষা আধিকারিকের দাবি, পড়ুয়ারা তিন সদস্যের কমিটিকে জানিয়েছে তারা মদ্যপান করেনি। স্রেফ মজা করার জন্যই ওই মদের বোতল হাতে নিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনা যাতে স্কুলে ভবিষ্যতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি, যে ছাত্রীরা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের অভিভাবকদেরও নোটিস পাঠানো হবে।”