(বাঁ দিক থেকে) হরদীপ সিংহ পুরী, রাহুল গান্ধী এবং মায়াবতী। —ফাইল চিত্র।
আবার বিদেশ সফরে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ উঠল রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ আমেরিকায় দু’টি পৃথক কর্মসূচিতে ভারতে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থার যৌক্তিকতা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে শিখদের স্বাধীন ভাবে ধর্মাচরণের অধিকার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। বিএসপি প্রধান মায়াবতী এবং বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী কড়া ভাষায় রাহুলের সমালোচনা করেছেন।
রবিবার আমেরিকার জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন রাহুল। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে আর কত দিন জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা বহাল থাকবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস তখনই সংরক্ষণ ব্যবস্থার ইতি টানার কথা ভাববে, যখন দেশে সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এখনও ভারতে তেমন পরিবেশ নেই।’’
রাহুল জানান দেশের ১০০ টাকার মধ্যে, আদিবাসীরা পান মাত্র ১০ পয়সা। দলিতেরা পান মাত্র ৫ টাকা। অন্যান্য অনগ্রসররাও (ওবিসি) প্রায় একই পরিমাণ পান। তাঁর ওই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মায়াবতী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘বরাবরই কংগ্রেসের গোপন পরিকল্পনা হল সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার। রাহুলের মন্তব্যেও তারই বার্তা মিলেছে।’’ বিজেপির সহযোগী এলজেপির প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান বলেন, ‘‘রাহুল এবং তাঁর দল দলিত বিরোধী।’’
অন্য দিকে, আমেরিকায় একটি বক্তৃতায় রাহুল রবিবার শ্রোতাদের এক জনের নাম জিজ্ঞাসা করেন। এর পর তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের লড়াই রাজনীতি নিয়ে নয়। লড়াই হল এক জন শিখ তাঁর পাগড়ি পরতে পারেন কি না, তা নিয়েও। এটা সব ধর্মের জন্য।’’ নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বাধীন ভাবে ধর্মাচরণের অধিকার সঙ্কুচিত হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। যার জবাবে হরদীপ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘দেশের কোন প্রান্তে শিখদের পাগড়ি পরার অধিকার খর্ব করা হয়েছে। রাহুল জবাব দিতে পারবেন? উনি সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছেন। আমি এক জন গর্বিত শিখ। ছ’দশকেরও বেশি সময় ধরে পাগড়ি পরে দেশের সমস্ত প্রান্তে গিয়েছি।’’ এর পরেই ইন্দিরা গান্ধী হত্যা পরবর্তী শিখবিরোধী হিংসার প্রসঙ্গ তুলে রাহুলের উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, ‘‘দেশে এক বারই শিখদের পাগড়ি পরার অধিকার নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। ওঁর বাবা রাজীব গান্ধী সে সময় কী বলেছিলেন, তা সকলে জানেন।’’