নতুন সংসদ ভবন। —ফাইল চিত্র।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে প্রথামাফিক সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বুধবার দিল্লিতে হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। তবে প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। অতীতে এই ধরনের বেশ কিছু বৈঠকে অবশ্য উপস্থিত থেকেছেন মোদী।
সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবারের বৈঠকে সংসদে প্রতিনিধি থাকা সব ক’টি দলের সঙ্গে আসন্ন অধিবেশনের সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা হবে। দিল্লির রাজনীতিতে গুঞ্জন যে, এই বাদল অধিবেশনেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংসদে পেশ করতে পারে সরকার। আবার দিল্লির অর্ডিন্যান্স নিয়েও আরও এক কদম এগোতে পারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই সব বিষয়ে বুধবার আলোচনা হয় কি না, তা-ই এখন দেখার।
মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু ওই দিন দিল্লিতে এনডিএ এবং বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক থাকায় অধিকাংশ নেতাই উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানান। বৈঠক স্থগিত করে দেন ধনখড়। দলের রণকৌশল ঠিক করতে বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকের পাশাপাশি, আলাদা করে বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতারাও। এনডিএ-র শরিক নেতারাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে বিজেপির একটি সূত্রের খবর।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরুতে ২৬টি বিরোধী দল এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছে। অন্য দিকে ভোটের আগে ঘর গোছাতে নেমেছে এনডিএ-ও। বাদল অধিবেশনে বিরোধী দলগুলির মধ্যে বোঝাপড়া এবং কক্ষ সমন্বয়ের ছবি দেখা যেতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিরোধী দলগুলির মনোভাব বুঝতে এবং নিজেদের বক্তব্য জানাতে সংসদের প্রতিটি অধিবেশন শুরুর আগেই এই ধরনের বৈঠক হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবারেই শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন।