গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী হাতেম মোল্লা। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ে আবার চলল গুলি। এ বার গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল কর্মী হাতেম মোল্লা। সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে তিনি ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী ছিলেন বলে খবর। তৃণমূলের অভিযোগ, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হয়েছেন তাদের কর্মী। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির দল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ভাঙড়ের পানাপুকুর এলাকায় অশান্তি শুরু হয়। একের পর এক বিস্ফোরণে এলাকা কেঁপে ওঠে। ব্যাপক বোমাবাজির পাশাপাশি গুলিও চলে। একটি গুলি এসে লাগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী হাতেমের শরীরে।
তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, অল্পের জন্য গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। তাই গুলিবিদ্ধ হননি হাতেম। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় জিরানগাছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামের অভিযোগ, এই অশান্তির পিছনে রয়েছে আইএসএফ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাত ১০টা নাগাদ বিজয়গঞ্জ বাজার সংলগ্ন পানাপুকুর গ্রামে এই গুলি চলার ঘটনা ঘটে। চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী হাতেমকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ওই তৃণমূল কর্মী রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আক্রমণের মুখে পড়েন। হাতেমের ডান কান ছুঁয়ে একটি গুলি বেরিয়ে যায়। একই সঙ্গে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করেও বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের দিন থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। বোমা-গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয় এলাকা। নিহত হন তিন জন। যার মধ্যে ছিলেন দুই আইএসএফ কর্মী এবং এক সাধারণ গ্রামবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হন এক পুলিশ আধিকারিক এবং বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গুলি চলল ভাঙড়ে।