সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া সেই সন্দেহভাজন। ছবি: সংগৃহীত।
চোখে সানগ্লাস, মুখে মাস্ক, মাথায় টুপি দিয়ে হনহনিয়ে ঢুকে পড়েন ক্যাফের মধ্যে। সে সময় কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতেও দেখা যায় বেঙ্গালুরুর রামেশ্বর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবককে। বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ হাতে নেওয়ার পরই প্রকাশ্যে এল আরও নতুন সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে মাত্র ন’মিনিট ক্যাফের মধ্যে ছিলেন ওই যুবক। তার মধ্যেই ক্যাফেতে বিস্ফোরক রেখে যান তিনি।
এর আগেও বিস্ফোরণস্থলের কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। সেখান থেকে তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পারেন বিস্ফোরণের সময় এক সন্দেহভাজন যুবকের গতিবিধি। তার পর আবারও নতুন ফুটেজকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ফুটেজে ওই যুবকের গতিবিধি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
কী আছে সেই ফুটেজে? জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সন্দেহভাজন যুবকটি ক্যাফের কাছের বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। তার পর ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ১১টা ৩৪ মিনিট নাগাদ ক্যাফেতে ঢোকেন। দ্বিতীয় ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ১১টা ৪৩ মিনিট নাগাদ ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান। ক্যাফে থেকে বেরোনোর পর ১০০ মিটার পর্যন্ত ওই ব্যক্তির গতিবিধির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কিন্তু তার পর তিনি কোথায় গেলেন, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। নতুন সিসিটিভি ফুটেজ থেকে স্পষ্ট যে মাত্র ন’মিনিটই ক্যাফের মধ্যে ছিলেন ওই যুবক।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ক্যাফের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি, এলাকার আরও কয়েকটি জায়গার সিসিটিভি ফুটেজও তদন্তকারী অফিসারদের আতশকাচের নীচে রয়েছে। তদন্তে পুলিশ ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে ক্যাফে ছাড়ার আগে সঙ্গে আনা ব্যাগটি ভেতরেই রেখে যান সন্দেহভাজন যুবকটি। তাঁকে সেই সময়ের মধ্যে ফোনেও কথা বলতে দেখা যায়। গোটা ঘটনার সময় এবং তার কিছু সময় আগে এবং পরে ওই এলাকা থেকে কতগুলি ফোন হয়েছে, কোথায় কোথায় সেই সব ফোন গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূ্ত্রে খবর।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর রবিবার সংবাদমাধ্যমে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছিলেন বছর দু’য়েক আগে মেঙ্গালুরুর এক বিস্ফোরণের কথা। তিনি জানিয়েছিলেন, রামেশ্বরমের ক্যাফে বিস্ফোরণে যে পদ্ধতি এবং যে ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, তার সঙ্গে মেঙ্গালুরুর ঘটনার মিল আছে। সোমবার তিনি আবারও সেই কথা বলেন। তার পর তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। মোট আটটি দল গঠন করে তদন্ত চলছে। আমরা অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বার করব।’’