দিল্লির দশ জায়গায় সিবিআই হানা। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
১১৭ কোটি টাকা সাইবার প্রতারণা মামলায় বুধবার দিল্লি এবং তার আশপাশের অঞ্চলের দশটি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি)-এর অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, অজ্ঞাতরপরিচয় সাইবার অপরাধীরা এবং সন্দেহভাজন কিছু বিদেশি অভিনেতা সংগঠিত ভাবে ভারত জুড়ে এই ধরনের অপরাধের জাল বিস্তার করেছেন।
ওই অভিযোগপত্রে আরও জানানো হয়েছে যে, হোয়াট্সঅ্যাপ, টেলিগ্রামের মতো সমাজমাধ্যমগুলিকে হাতিয়ার করে বিদেশ থেকে এই ধরনের প্রতারণা চক্র পরিচালনা করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে সিবিআইয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কাজের টোপ দিয়ে, কখনও ভাল বেতনে বিদেশে কাজের সুযোগের প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। সেই ফাঁদে পড়ে টাকা দিতেই তা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মানুষ এই ধরনের সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে টাকা খুইয়েছেন। ১১৭ কোটি টাকার সেই প্রতারণার মামলায় বুধবার দিল্লিতে তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই।
শুধু দিল্লি নয়, এনসিআরেও তল্লাশিতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েক জনের ঠিকানায় বুধবার হানা দিয়ে প্রচুর নথি, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। গত সেপ্টেম্বরেও এই ধরনের প্রতারণার ঘটনায় দেশের ৩২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল পুণে, হায়দরাবাদ, আমদাবাদ এবং বিশাখাপত্তনম। পুণে, বিশাখাপত্তন এবং হায়দরাবাদের চারটি কলসেন্টারের হদিস পায় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ১৭০ জন এই ধরনের প্রতারণায় জড়িত। তার মধ্যে ২৬ জনকে এই তিন জায়গা থেকে গ্রেফতার করে তারা।