Bangladesh Crisis

আকাশপথে পাহারাদারি, সোমবার হাসিনার বিমানের সুরক্ষায় ছিল ভারতের জোড়া রাফাল

গণবিক্ষোভের জেরে সোমবার দুপুরে শুধু প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়াই নয়, বাংলাদেশও ছাড়তে হয় হাসিনাকে। দুপুরেই বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছাড়েন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১২:১৮
Share:

— ফাইল চিত্র।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদে হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামে শেখ হাসিনার বিমান। প্রবল গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে দেশ ছেড়ে পালানোর পরে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তবে হাসিনার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল ভারত। কেমন ছিল সেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপ?

Advertisement

জানা গিয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) রাডারগুলি গোটা সময়টাই বাংলাদেশের আকাশে কড়া নজর রেখেছিল। সেই নজরদারি জারি ছিল রাতভর। সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০ বিমান অ্যাজাক্স১৪১৩ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে গাজ়িয়াবাদ পৌঁছয়। সূত্রের খবর, হাসিনার বিমানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটি থেকে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের আকাশে উড়েছিল ১০১ স্কোয়াড্রনের দুটি রাফাল যুদ্ধবিমান। সতর্ক নজর ছিল সেনা ও বায়ুসেনা প্রধানের।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হাসিনার ভারতে আগমন ইস্যুতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির শীর্ষকর্তাদের নিয়ে একাধিক বৈঠকও হয়। হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান খোদ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও করেছেন তাঁরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, হিন্ডন এয়ারবেস এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম। বায়ুসেনার পশ্চিম এয়ার কমান্ড এই বিমানঘাঁটির তদারকি করে। একটি সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ বায়ুসেনার একটি মালবাহী (কার্গো) বিমানে গাজিয়াবাদে নামেন হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা এবং কয়েক জন উচ্চপদস্থ অফিসার।

গণবিক্ষোভের জেরে সোমবার দুপুরে শুধু প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়াই নয়, বাংলাদেশও ছাড়তে হয় হাসিনাকে। দুপুরেই বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছাড়েন তিনি। কপ্টারে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে। বাংলাদেশ বায়ুসেনার কপ্টারটি উড়িয়ে নিয়ে যান জনৈক এয়ার কমান্ডার আব্বাস। কিছু ক্ষণ পর জানা যায়, ভারতে আসছে হাসিনার বিমান। প্রথমে জল্পনা ছিল, দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও রাজধানী লাগোয়া গাজ়িয়াবাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তা অবতরণ করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement