গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বার নিশানা করেছিলেন রাজনীতির পরিবারতন্ত্রকে। কিন্তু পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল বিজেপির প্রতি পাঁচ জন প্রার্থীর এক জন ‘বংশানুক্রমিক ঐতিহ্য’ মেনে ভোটের রাজনীতিতে পা রেখেছেন। ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা ভোটেও সেই ধারা বজায় রাখল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল।
বিজেপির প্রার্থিতালিকায় অনেক ‘মুখেরই’ রাজনীতির সঙ্গে ‘পারিবারিক যোগসূত্র’ রয়েছে বলে প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে উঠে এসেছে। পিছিয়ে নেই রাজ্যের শাসকজোট ‘ইন্ডিয়া’র বৃহত্তম দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-ও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন-সহ একাধিক নেতার পুত্র-কন্যাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে এ বার বিজেপির টিকিটে লড়ছেন পাঁচ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরিজনেরা— অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা), জেএমএম প্রধান শিবু সোরনের পূত্রবধূ সীতা (জামতাড়া), রঘুবর দাসের পুত্রবধূ পূর্ণিমা (জামশেদপুর-পূর্ব), মধু কোড়ার স্ত্রী গীতা (জগন্নাথপুর) এবং চম্পেই সোরেনের পুত্র বাবুলাল (ঘাটশিলা)। জেএমএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া চম্পেই নিজেও তাঁর পুরনো কেন্দ্র সেরাইকেলার লড়ছেন। ধানবাদের প্রভাবশালী সাংসদ দুল্লু মাহাতোর ভাই শত্রুঘ্ন এবং ধানবাদের ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন বিধায়ক সঞ্জীব সিংহের স্ত্রী রাগিণী (ঝরিয়া) রয়েছেন বিজেপির প্রার্থিতালিকায়।
হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা ছাড়াও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুধীর মাহাতোর স্ত্রী সবিতা (ইচাগড়), প্রাক্তন মন্ত্রী জগন্নাথ মাহাতোর স্ত্রী বেবি (ডুমরি) এবং প্রাক্তন মন্ত্রী হাজি হুসেন আনসারির পুত্র হাফিজুলকে (মধুপর) জেএমএমের তরফে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ঝাড়কণ্ড বিধানসভার তৃতীয় বৃহত্তম দল কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রের অঙ্কে অনেকটাই পিছিয়ে। বরকাগাঁও কেন্দ্রে প্রাক্তন মন্ত্রী যোগেন্দ্র শাহুর কন্যা তথা বিধায়ক অম্বা প্রসাদকে এ বারও টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। মহগামার পুনর্মনোনয়ন পেয়েছেন বিদায়ী বিধায়ক দীপিকা পাণ্ডে সিংহ। তাঁর শ্বশুর অওয়ধ বিহারী সিংহ অবিভকত বিহারের মন্ত্রী ছিলেন।