প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক দাদারাও কেচের আবাসিক স্কুলে এক কিশোরের ‘রহস্যমৃত্যু’তে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে ওয়ার্ধা জেলায়। স্কুলের হস্টেলের একটি ঘরে ডাঁই করা গদির নীচ থেকে ওই কিশোর পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় বুধবার রাতে। কী ভাবে পড়ুয়ার মৃত্যু হল, খুন না কি অন্য কোনও কারণ, তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
ওয়ার্ধা জেলার নারা গ্রামে একটি আবাসিক স্কুল চালান আরভির বিধায়ক কেচে। বুধবার রাতে যে কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার নাম শিবম সামোজ উইকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা শেষ বার তাকে দেখা গিয়েছিল। ওই দিনই রাত সাড়ে ৮টায় হস্টেলের ঘর থেকে শিবমের দেহ উদ্ধার হয়। স্কুল সূত্রে খবর, এক পড়ুয়া ঘুমোনোর জন্য বিছানা ঠিক করছিলেন। তখনই গদির নীচে শিবমকে দেখতে পেয়েই আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে। স্কুলের কর্মীরা ছুটে এসে দেখেন গদির নীচে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিবমের দেহ।
অমরাবতী জেলার চিখলদারা তালুকের বাসিন্দা শিবম। কী ভাবে তার মৃত্যু হল, কী ভাবেই বা গদির নীচে দেহ পাওয়া গেল, তা নিয়েই এখন রহস্য বাড়ছে। আর এই রহস্যোদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেই কোভিড নিয়ম ভেঙে জন্মদিন পালনের অভিযোগ উঠেছিল। সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর কাছে বিধায়ক দাবি করেছেন, হস্টেলে পড়ুয়াদের শোওয়ার জন্য এক জায়গায় গদি ডাঁই করা থাকে। সেখান থেকে গদি নিয়ে পড়ুয়ারা শোওয়ার জন্য বিছানা করে। সেই গদি আনতে গিয়েই মেঝেতে আছাড় খেয়ে পড়ে ওই পড়ুয়া। মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয় তার। বিধায়কের এই দাবি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মৃত পড়ুয়ার পরিবার। স্কুলের অব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। স্থানীয়রাও বিধায়কের এই স্কুলের নানা অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন।