Manipur Violence

অপহৃত মেইতেই মহিলা ও দুই শিশুকে নৃশংস ভাবে খুন, দেহ উদ্ধারের পর উত্তেজনা ছড়াল মণিপুরে

অসম-মণিপুর সীমানার জিরি নদীতে শুক্রবার রাতে এক মহিলা ও দুই শিশুকন্যার দেহ ভাসতে দেখা যায়। প্রথমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। শনিবার দেহ শনাক্তের পর উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪৮
Share:

মণিপুর হিংসায় জ্বলছে বাড়ি। —ফাইল চিত্র।

জিরিবামে কুকি জঙ্গিদের হাতে অপহৃত ছ’জন মেইতেই গ্রামবাসীর মধ্যে এক মহিলা এবং দুই শিশুকন্যার দেহ মিলল নদীতে। তার পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরের জিরিবাম এবং লাগোয়া জেলাগুলিতে।

Advertisement

অসম-মণিপুর সীমানার জিরি নদীতে শুক্রবার রাতে এক মহিলা ও দুই শিশুকন্যার দেহ ভাসতে দেখা যায়। প্রথমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। প্রশনিবার দেহ শনাক্তের পর উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। জিরিঘাট এলাকায় জিরি ও বরাক নদীর সংযোগস্থল থেকে দেহগুলি উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। রাতে দেহ পাঠানো হয় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মেইতেইদের দাবি, সশস্ত্র কুকি-মার বাহিনী ত্রাণশিবির থেকে মোট ছ’জনকে অপহরণ করেছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নিহত এই তিন জন।

গত ১০ নভেম্বর রাতে জিরিবামে মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাম্বাই টেঙ্গল এবং ইউএনএলএফের যৌথ হামলায় মার জনজাতির এক মহিলা নিহত হওয়ার পরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ওই ঘটনার জবাবে মার-কুকি বাহিনী মেইতেইদের বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকান জ্বালিয়ে দেয়। পুড়িয়ে মারা হয় দু’জনকে মেইতেই গ্রামবাসীকে। হামলা হয় থানায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের শিবিরেও হামলা চালানো হয়। গত ১১ নভেম্বরের ওই ঘটনায় সিআরপিএফ পাল্টা গুলি চালালে ১০ জন সশস্ত্র হামলাকারী নিহত হয়েছিলেন। সংঘাতের এই আবহে শনিবার জিরিবামের পাহাড়-জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ও আধাসেনার যৌথ দল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement