Maharashtra Assembly Election 2024

‘জঙ্গি কসাবকে বিরিয়ানি খাইয়েছিল কংগ্রেস’, নড্ডা মানতে নারাজ বিজেপির উজ্জ্বল নিকমের বক্তব্য

আজমল কসাবের ফাঁসির পরে উজ্জ্বল নিকম মেনে নিয়েছিলেন, কসাব কখনও জেলে বিরিয়ানি খেতে চায়নি। তাকে বিরিয়ানি দেওয়াও হয়নি। ফাঁসির পক্ষে জনমত তৈরি করতে বিরিয়ানির মনগড়া গল্প বানিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪০
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মুম্বইয়ের ২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত জঙ্গি আজমল কসাবকে জেলে কখনও বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়নি বলে স্বীকার করেছেন ওই মামলার সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম। গত লোকসভা ভোটে মুম্বই উত্তর-মধ্য কেন্দ্রে সেই নিকমকে টিকিটও দিয়েছিল বিজেপি। দলের সভাপতি জেপি নড্ডা কিন্তু নিকমের বিরিয়ানি-স্বীকারোক্তি মানতে রাজি নন।

Advertisement

বিধানসভা ভোটের প্রচারে শুক্রবার মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ের পড়শি শহর ঠাণেয় গিয়েছিলেন নড্ডা। সেখানে বিজেপির সভায় তিনি বলেন, ‘‘ওই মুম্বাইয়েই ২৬/১১ হামলা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার যখন ডসিয়ের নিয়ে পাকিস্তানে যাচ্ছিল, তখন জঙ্গি আজমল কসাবকে বিরিয়ানি পরিবেশন করা হয়েছিল।’’ মনমোহন সিংহের সরকার পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব নিয়ে চলেছে অভিযোগ করে নড্ডা বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের কী ভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা নরেন্দ্র মোদী দেখিয়ে দিয়েছেন।’’

প্রসঙ্গত, ২৬/১১-র সন্ত্রাসের মামলা চলাকালীন তৎকালীন সরকারি আইনজীবী নিকম অভিযোগ করেছিলেন, পাকিস্তানি জঙ্গি কসাব জেলে বসে বিরিয়ানি খাচ্ছে। কসাবের ফাঁসি হয়ে যাওয়ার পরে সেই নিকমই মেনে নিয়েছিলেন, কসাব কখনও জেলে বিরিয়ানি খেতে চায়নি। তাকে জেলে বিরিয়ানি দেওয়াও হয়নি। কসাবের প্রতি সহানুভূতি তৈরি হচ্ছে দেখে তিনি তার ফাঁসির পক্ষে জোরদার মত তৈরি করতে বিরিয়ানির মনগড়া গল্প বানিয়েছিলেন।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত অবশ্য সরকারি উকিল হিসেবে নিকম মুম্বই হামলায় ধৃত পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী কসাবের ফাঁসি নিশ্চিত করেছিলেন। লোকসভা ভোটে তাঁকে প্রার্থী করে মোদী-অমিত শাহেরা উগ্র জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের তাস খেলতে সক্রিয় হয়েছিলেন। পূর্বতন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গে নরম মনোভাব ও সন্ত্রাসবাদী হামলা রুখতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছিলেন। মনমোহনের আমলে সন্ত্রাসবাদী হামলার ইতিহাস ও মোদী সরকারের আমলে সন্ত্রাসবাদ রোখার ক্ষেত্রে সাফল্যের তুলনা টেনে ভোট কুড়োনোর চেষ্টাও করা হয়েছিল।

কিন্তু সেই ভোটে নিকম জিততে পারেননি। সার্বিক ভাবেও মহারাষ্ট্রের বিজেপির খারাপ ফল হয়েছিল। তবে এ বার বিধানসভা ভোটের প্রচারেও একই অস্ত্র ব্যবহার করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement