মুহাম্মদ ইউনূস। — ফাইল চিত্র।
পালাবদলের বাংলাদেশ এ বার পাকিস্তানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয় হল। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম থেকে পাক বন্দর শহর করাচিতে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে উদ্যোগী হয়েছে বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাক হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, সরাসরি জাহাজ পরিষেবা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর পথে একটি বড় পদক্ষেপ। ঢাকার পাক হাই কমিশনও সমাজমাধ্যমে চট্টগ্রাম-করাচি জাহাজ পরিষেবা চালুর বিষয়ে সরকারি স্তরে আলোচনার কথা জানিয়েছে। ঘটনাচক্রে, বুধবারই প্রথম করাচি থেকে সরাসরি একটি জাহাজ চট্টগ্রামে এসেছে।
শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ বাংলাদেশের সরকারি নীতির একাধিক ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাক সেনার অত্যাচার, গণধর্ষণ, হত্যালীলার কথা বারে বারে প্রকাশ্যেই বলেছে ঢাকা। কিন্তু গত ৫ অগস্ট গণবিক্ষোভের জেরে হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা এবং ভারতে চলে আসার পরে অনেক কাছাকাছি এসেছে ইসলামাবাদ-ঢাকা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় উর্দু শের-শায়েরি-বক্তৃতায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ৭৬তম মৃত্যুদিন। এমনকি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবর্তে জিন্নাকে ‘জাতির জনক’ ঘোষণার পক্ষে সওয়ালও করা হয়েছে সেই মঞ্চ থেকে! এ বার সেই নৈকট্যের প্রতিফলন দেখা গেল নৌবাণিজ্যে।