নিজস্ব চিত্র।
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঝাড়খণ্ডের গিরিডি। বিস্ফোরণের জেরে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রুট বদল করতে হল রাজধানী-সহ বহু ট্রেনের।
বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ ধানবাদ-গয়া ডিভিশনে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। ধানবাদ ডিভিশনের কারামাবাদ ও চিচাকি স্টেশনের মাঝামাঝি এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে বলেও জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে রেল ট্র্যাকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কোনও প্রাণহানি হয়নি। মাওবাদীরা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে মাওবাদীদের একাধিক পোস্টার। বড় নাশকতার ছকও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আবার নাশকতার আশঙ্কা থাকায় গতি নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতাও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ট্র্যাক মেরামতের কাজ চলছে।
বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্রই ওই রুটে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়। রাজধানী-সহ অনেক ট্রেনের রুট পরিবর্তনও করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে, হাওড়া-দিল্লি রেল রুটের গোমো-গয়া (জিসি) রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ধানবাদ-দেহরি এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে গয়া-আসানসোল প্যাসেঞ্জার এবং আসানসোল-বারাণসী প্যাসেঞ্জারও বাতিল করা হয়েছে।
যে ট্রেনগুলির রুট পরিবর্তন করা হয়েছে সেগুলি হল, নয়াদিল্লি-শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস এবং নয়াদিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনগুলি ধানবাদ-গয়া রুটের বদলে পটনা-ঝাঁঝর রুট হয়ে চলবে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ড-বিহার বনধে্র ডাক দেওয়ার পর থেকেই মাওবাদীরা রেলকে টার্গেট করেছে। ২৭ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ড-বিহারে বনধে্র ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। সিপিআই পলিটব্যুরোর সদস্য প্রশান্ত বোস এবং তাঁর স্ত্রী শীলা মারান্ডিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এই বনধ্ ডাকা হয়েছিল।