প্রতীকী ছবি।
ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পরে এমনই ‘শক্ত’ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে শরীরে যা পরবর্তী কালে ওমিক্রন তো বটেই, করোনাভাইরাসের অন্যান্য প্রজাতির সংক্রমণ-আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়। এমনকি উদ্বেগজনক স্ট্রেন হিসাবে পরিচিত ডেল্টার সংক্রমণকেও সহজেই কাটাতে সাহায্য করে এই অ্যান্টিবডি। তাদের এক বিশেষ পর্যালোচনায় এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
ডেল্টার সংক্রামক ক্ষমতা এবং আক্রান্তের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর তার কুপ্রভাব কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বিশেষজ্ঞদের। তবে ওমিক্রনের থেকে তৈরি অ্যান্টিবডি নিয়ে এই নয়া তথ্য সামনে আসার পরে এখন সেই প্রসঙ্গে আশার আলো দেখছেন তাঁরা। তাই ওমিক্রন-নির্দিষ্ট টিকাকরণ কৌশলের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এই পর্যালোচনার জন্য মোট ৩৯ জনের উপর এই পরীক্ষা করা হয় বলে আইসিএমআর সূত্রের খবর। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনকে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার তৈরি টিকার দু’টি ডোজ় দেওয়া হয়। ফাইজ়ারের দু’টি ডোজ় দেওয়া হয় আট জনকে। বাকি ছ’জনের টিকাকরণ করা হয়নি। উল্লেখ্য, ৩৯ জনের মধ্যে ২৮ জনই বিদেশ ফেরত। এসেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল, আমেরিকা ও ব্রিটেন থেকে। তাঁরা সকলেই ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
পর্যালোচনা প্রসঙ্গে আইসিএমআর-এর বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘ওমিক্রন আক্রান্তদের উপর আমাদের পর্যালোচনায় যথেষ্ট প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে। শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা ওমিক্রনের পাশাপাশি ডেল্টা-সহ অন্যান্য ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’-এর বিরুদ্ধেও কার্যকারিতার প্রমাণ দিয়েছে।’’
এ দিকে দেশ কমেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্যে সেই ইঙ্গিত মিলেছে বুধবার। গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৩,৮২৪ কমেছে বলে দেখা গিয়েছে। যা কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যে।