Telengana

বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে আটক করল তেলঙ্গানা পুলিশ, বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

তদন্তে উঠে এসেছে মঙ্গলবার হিন্দি পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তকারীদের অবশ্য দাবি, একে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলা যায় না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫০
Share:

থানার পথে বিজেপি নেতা। সেখান থেকেই টুইটারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।

দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ কাণ্ডে তেলঙ্গানা পুলিশের হাতে আটক হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ বন্দি সঞ্জয়। যদিও তেলঙ্গানার রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, তিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন দমনমূলক পদক্ষেপ। এ নিয়ে জোর শোরগোল তেলঙ্গানার রাজ্য রাজনীতিতে।

Advertisement

৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে তেলঙ্গানার দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা। প্রথম পরীক্ষার দিনই বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে হিন্দি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তেলঙ্গানা বিজেপি রাজ্য সভাপতির বাড়িতে যায় পুলিশ। এই খবর পেয়ে বিজেপি সমর্থকেরা দলের রাজ্য সভাপতির বাড়ির সামনে জড়ো হন। শুরু হয় গোলমাল। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতাকে আটক করে নিয়ে যায় বোম্মালারমরম থানার পুলিশ। আটক হন বিক্ষোভরত বিজেপি সমর্থকদের কয়েক জন।

এর মধ্যে নিজের আটক হওয়ার ঘটনার ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন সঞ্জয়। টুইটারে তেলঙ্গানার শাসকদলকে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘ভয় পেয়েছে বিআরএস! প্রথমে আমাকে সাংবাদিক বৈঠক করতে বাধা দেয় ওরা, তার পর রাতে আমায় গ্রেফতার করে! আমার একটাই অপরাধ যে বিআরএস সরকারের খারাপ কাজের নিন্দা করেছি।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘যদি আমার জেলও হয়, আপনারা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলুন। জয় শ্রীরাম! ভারত মাতাকি জয়! জয় তেলঙ্গানা।’’

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপি নেতাকে তারা আটক করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, মঙ্গলবার হিন্দি পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তকারীদের অবশ্য দাবি, একে প্রশ্নপত্র ফাঁস বলা যায় না। কারণ, এক পরীক্ষার্থী নকল করার উদ্দেশ্যে ওই কাজ করেছিল। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরতে থাকে সেই প্রশ্নপত্র। সেটি ফরওয়ার্ড হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতির ফোনেও।

স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এই অভিযোগে সুর চড়াতে শুরু করেন করিমনগরের সাংসদ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সবিতা ইন্দ্র রেড্ডির পদত্যাগ দাবি করেন। তার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement