বার বার তুষারপাতে আটকে পড়ছেন পর্যটক থেকে সিকিমের স্থানীয় বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
এপ্রিলের শুরুতেও তুষারপাত অব্যাহত সিকিমে। বার বার তুষারপাতে আটকে পড়ছেন পর্যটক থেকে সিকিমের স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে নতুন করে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, একাধিক মৃত্যুর।
এর আগে গ্যাংটক থেকে নাথু লা যাওয়ার পথে ১৫ মাইলে পর্যটকবোঝাই একটি গাড়ির উপর তুষার ধস নামে। দুর্ঘটনায় ওই গাড়ির পর্যটকেরা খাদের দিকে ছিটকে যান৷ ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৩ মাইল ছাঙ্গু রোডে আবার তল্লাশির কাজ শুরু হয়েছে। তুষারপাতে সিকিমের স্থানীয়দের অনেকে আটকে রয়েছেন বলে খবর। ঠিক কত জন আটকে আছেন এখনও তার নির্দিষ্ট হিসাব প্রকাশ্যে আসেনি।
সিকিম পর্যটন বিভাগের তরফে রাজ বসুর কথায়, ‘‘সিকিমে এই রকম তুষারধসের নজির অতীতে তেমন নেই। এ বছর মরসুম পার করে তুষারপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় দুর্ঘটনা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী এবং সিকিম সরকার পুনরায় উদ্ধারকাজে নেমেছে। তাদের আশঙ্কা, আরও পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দা ধসে আটকে রয়েছেন।’’ পাশাপাশি, রাজু মনে করান, ‘‘পর্যটকদেরও খানিকটা সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাঁরা ট্রাভেল এজেন্সির বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কথা অগ্রাহ্য করে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় চলে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে যে কোনও প্রকার ধস বা অতিরিক্ত তুষারপাতে আটকে পড়েন অনেকে। গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে এমন অনেক পর্যটক আমাদের ফোন করে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁদের সীমান্ত এলাকায় যেতে বারণ করেছিলাম বলে।’’
অন্য দিকে, আবহাওয়া পরিবর্তনের এখনই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘এমন তুষারপাত বিগত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। এখন উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলছি। আবহাওয়া কখন কী থাকছে, তা জেনে উদ্ধারকার্যে নামছেন তাঁরা। বিশেষ করে মার্চ মাসের ৩০ তারিখ ব্যাপক তুষারপাত হয়েছে এই অঞ্চলে।’’