Instagram Reel

খালি ‘রিল’ বানানো? স্বামীর বকুনি খেয়ে দেড় কিমি হেঁটে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ সমাজমাধ্যম প্রভাবীর!

স্বামী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের বিয়ে হয়েছিল সাত মাস আগে। স্ত্রীর মোবাইলে আসক্তি ছিল প্রবল। প্রায় সর্বদাই ‘রিল’ বানাতেন। সে সব ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:৫২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বিয়ে হয়েছিল মাত্র সাত মাস আগে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের শুরু থেকে স্ত্রীর একটা অভ্যাস দেখে বিরক্ত ছিলেন স্বামী। সেই নিয়ে ঝগড়ার জেরে ট্রেনের সামনে ধাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বধূ। শুক্রবার সকালে তাঁর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলার ঘটনা।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম জুলেখা। বয়স মাত্র ২০ বছর। মৃতের স্বামী শফিক পুলিশকে জানান, স্ত্রীর মোবাইল নিয়ে আসক্তি ছিল প্রবল। প্রায় সর্বদাই ‘রিল’ বানাতেন। সে সব ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতেন। আবার পরের ‘রিল’ কী হবে সে সব নিয়ে ভাবতেন। সমাজমাধ্যমে জুলেখার ‘ফলোয়ার্স’ও অনেক। কিন্তু স্ত্রীর এই শখ একেবারেই পছন্দ ছিল না তাঁর। এ নিয়ে প্রায়শই দম্পতির ঝগড়া হত।

বৃহস্পতিবারও এমনটা হয়েছিল। শফিক পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফেরে তিনি দেখেন রান্নাবান্নার কোনও ব্যবস্থা করেননি জুলেখা। অথচ ‘রিল’ বানাচ্ছিলেন। সেই দেখে তিনি বকাবকি করেছিলেন স্ত্রীকে। আবার এক চোট ঝগড়া হয় দু’জনের। শেষমেশ রাতে মিটমাটও হয়ে গিয়েছিল। দু’জনে এক ঘরে ঘুমোতেও যান। কিন্তু সকালে উঠে বিছানায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে তাঁকে ডাকাডাকি করেন তিনি।

Advertisement

বাড়ির মধ্যে কোথাও জুলেখাকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু কেউ তাঁর স্ত্রীর খোঁজ দিতে পারেননি। উপায়ন্তর না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবক। স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন থানায়। এর পর শুক্রবার সকালে মাহোবা-খাজুরাহো রেলপথে জুলেখার ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে ওই রেলপথ ধরে হাঁটছিলেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী। একটি ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তাঁর।

উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে আত্মহত্যাই করেছেন ওই যুবতী। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে এই ব্যাপারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement