প্রতীকী ছবি।
৫ সেপ্টেম্বর: রাজস্থানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল করল রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস। গত ২৬ ও ২৯ অগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ৬টি জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত সমিতির ১৫৬৪টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ২০০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, দু’টি ক্ষেত্রেই মূল বিরোধী বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬৭০টি আসন জিতেছে তারা। সেখানে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৫৫১টি আসনে। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই দলের মধ্যে। জেলা পরিষদে কংগ্রেস যেখানে ৯৯টি আসন পেয়েছে, সেখানে বিজেপির দখলে এসেছে ৯০টি আসন।
ভরতপুর, দৌসা, জয়পুর, যোধপুর, সোয়াই মাধোপুর, এবং সিরোহি— এই ছ’টি জেলা জুড়ে নির্বাচন হয়েছিল। প্রতীকবিহীন এই নির্বাচনে কংগ্রেস এবং বিজেপি বাদ দিয়ে ভাল ফল করেছে নির্দলরাও। তাদের দখলে গিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির ২৯০টি আসন। একদা বিজেপির জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির দখলে গিয়েছে ৪০টি আসন। মায়াবতীয় বিএসপি অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তাদের দখলে এসেছে মাত্র ১১টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন।
জেলা পরিষদের ২০০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস এবং বিজেপি আলাদা আলাদা ভাবে দখল করেছে মোট ১৮৯টি আসন। বাকিগুলির মধ্যে নির্দলরা জয়ী হয়েছেন ৮টি আসনে। বিএসপি-র দখলে ৩টি আসন।
আসন জয়ের সংখ্যার নিরিখে চারটি জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন করবে কংগ্রেস। গত বছর ডিসেম্বরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা খেয়েছিল কংগ্রেস। কৃষক আন্দোলনের আবহেও বিজেপির সেই জয়ের পিছনে কংগ্রেসের গোষ্টীদ্বন্দ্বকে নিশানা করেছিলেন দলেরই একাংশ। এই অবস্থায় এ বারের জয় দলকে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে।
বিজেপিকে পিছনে ফেলে ৬টি জেলার মধ্যে ৪টি বোর্ড গঠনের সম্ভাবনায় স্বস্তিতে রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান গোবিন্দ সিংহ দোস্তারা জানিয়েছেন, এই জয় কংগ্রেসের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করবে। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস অবাবনীয় সাফল্য পেয়েছে এই নির্বাচনে। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রমুখ ও প্রধান পদে নির্বাচন হবে আগামিকাল, ৬ সেপ্টেম্বর। উপ-প্রমুখ এবং উপ-প্রধান পদে নির্বাচন হবে তার পরের দিন, অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর।
ফল প্রকাশের পরে জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘পঞ্চায়েক সমিতি এবং জেলা পরিষদের নির্বাচনে কংগ্রেসকে জেতানোয় আমি সব ভোটারকে ধন্যবাদ জানাই। কংগ্রেস কর্মী এবং জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা।’ রাজ্য কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা গহলৌতের বিপরীত শিবিরে থাকা সচিন পাইলটও এই জয়ে উচ্ছ্বসিত। জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বার্তা, ‘আশা করি, আপনারা সকলে জনগণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত এবং নিজেদের এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য তৈরি। কংগ্রেসের নীতি অনুযায়ী এই কাজগুলো যেন আপনারা করতে পারেন।’