— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মহিলাদের শৌচাগারে লুকোনো মোবাইল ফোন। চলেছিল দু’ঘণ্টার ভিডিয়ো রেকর্ডিংও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর একটি কফি শপের। এক মহিলা মোবাইলটি দেখতে পেয়ে হইচই জুড়ে দিলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনায় ক্যাফের এক কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।
শহরের জনপ্রিয় ওই ক্যাফেটি বেঙ্গালুরুর বিইএল রোডে অবস্থিত। সেখানে সব সময়েই লেগে থাকে নানা বয়সের মানুষের ভিড়। ক্যাফেতে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে। ঘটনার দিনও ক্যাফেটি রোজকার মতোই সরগরম ছিল। তখনই শৌচাগারে যান জনৈকা মহিলা। তাঁর নজরে আসে, ডাস্টবিনের ভিতর থেকে উঁকি মারছে একটি মোবাইল ফোন। চিৎকার করে লোক জড়়ো করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ক্যাফে কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন ওই মহিলা। ভিডিয়োতে নিজের বয়ান প্রকাশ করামাত্রই দ্রুত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি। ওই ভিডিয়োতে মহিলা জানাচ্ছেন, ঘটনার দিন বেঙ্গালুরুর একটি জনপ্রিয় ক্যাফেতে গিয়েছিলেন। শৌচাগারের ডাস্টবিনে লুকিয়ে রাখা মোবাইলটি চোখে পড়ে তাঁর। ক্যামেরা চালু করে টয়লেট সিটের দিকে মুখ করে ফোনটি এমনভাবে লুকিয়ে রাখা ছিল, যাতে কেবল ফোনের ক্যামেরাটুকুই বেরিয়ে থাকে। ফোনটি হাতে নিয়ে মহিলা দেখেন, অন্তত দু’ঘণ্টার ভিডিয়ো রেকর্ডিং রয়েছে সেখানে! তখনই চিৎকার শুরু করে দেন ওই মহিলা।
এর পর জানা যায়, ফোনটি ওই ক্যাফেরই এক কর্মচারীর। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে ক্যাফে চেনটিতে ঘটনাটি ঘটেছে, তা বেঙ্গালুরু তো বটেই, বরং সারা ভারতেও নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। দেশের একাধিক শহরে ওই ক্যাফের একাধিক আউটলেট রয়েছে। ঘটনার পরে দায় স্বীকার করে নিয়ে ক্যাফে কর্তৃপক্ষ লিখেছেন, ‘‘আমরা আমাদের বিইএল রোড শাখার দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটির জন্য দুঃখিত। ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, আমাদের বিপণীতে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজ একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।’’