অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।
প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ার অপরাধে ৪২ বছরের এক দন্ত চিকিৎসককে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল বেঙ্গালুরুর এক আদালত।
প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ায় দোষী সাব্যস্ত ওই মহিলার নাম সায়িদা আমিনা নাহিম। তিনি দাঁতের চিকিৎসক। ২০০৮-এ তাঁর প্রেমিক মীর আরশাদ আলি বিয়ে করেন অন্য এক মহিলাকে। তাতেই ক্ষেপে যান ওই মহিলা।
২০০৮-এর ২৯ নভেম্বর মীরকে সে ডেকে পাঠায় নিজের চেম্বারে। সেখানে দেখা করতে এলে তাঁকে ওষুধ মেশানো ফলের রস খেতে দেন আমিনা। তা খেয়ে প্রেমিক অচৈতন্য হয়ে পড়লে নিজের চেম্বারে থাকা যন্ত্রপাতি দিয়েই মীরের যৌনাঙ্গ কেটে নেন তিনি। তার পর মীরকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যান। এমনকি চিকিৎসক ও মীরের পরিবার কেটে নেওয়া যৌনাঙ্গ ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন আমিনা।
সেই মামলারই সম্প্রতি রায় দিয়েছে বেঙ্গালুরুর কোরামঙ্গলার একটি দেওয়ানি আদালত। যদিও আদালতে আমিনা দাবি করেন, দুর্ঘটনার কারণে মীরের এ রকম অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু মীরের শরীরে আর কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। সব সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখে আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। সঙ্গে মীরকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।